ভারতের গমে রুবেলা ভাইরাস : অর্ধলাখ টন ফেরত দিল তুরস্ক

আগের সংবাদ

কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন : ভোরের কাগজের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার দাবি

পরের সংবাদ

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক : নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতিও উত্তপ্ত হবে

প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, রাজনৈতিক অঙ্গন ততই উত্তপ্ত হবে। সহিংসতাও বাড়বে। আন্দোলন হবে। বিভিন্ন জোট ভাঙবে, গড়বে। এসব এখন চলবে। এটা আমাদের দেশের রাজনীতির স্বাভাবিক চিত্র। সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে গতকাল ভোরের কাগজকে তিনি এসব কথা বলেন। অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বিগত ৫০ বছরে আমাদের দেশে যে রাজনৈতিক ধারা তৈরি হয়েছে। সেখান থেকে অনুমান করে বলতে পারি, এ ধরনের ঘটনাগুলো এখন একে একে ঘটতে থাকবে। এরই মধ্যে শুরুও হয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় একটা জোট আছে। তারা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৃহত্তর জোট গঠনের বিষয়েও আলোচনা করছে। তাদের টার্গেট বড় প্ল্যাটফর্ম করে সরকারবিরোধী আন্দোলন করা। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তরফ থেকে বলা হচ্ছে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সার্বিক দায়-দায়িত্ব পালন করবে। এটাই সাংবিধানিক প্রথা। এখন দেখার বিষয় যে সময়ের ব্যবধানে এটা এখন কোন দিকে যায়। তবে সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমরা আশা করব, সুষ্ঠু একটা নির্বাচনের জন্য যা করণীয় সেটা নির্বাচন কমিশন করবে। নির্বাচন কমিশনের উপরে সবার আস্থা স্থাপন করতে হবে।
তিনি বলেন, যারা নির্বাচন করতে চায় না, তারা কেন করতে চায় না- সেই প্রশ্নের উত্তরটা নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল বসে বের করতে হবে। গণতন্ত্র এমন কোনো জায়গা না, যেখানে আমি কোনো কিছুতে থাকব না। অথচ আন্দোলন করব, সংগ্রাম করব- এটা কোনো রাজনৈতিক দলের বিষয় না। রাজনৈতিক দল সবসময় জবাবদিহিমূলক একটা অবস্থানে থাকবে। এটাই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা। একটা রাজনৈতিক দল নিশ্চয়ই আন্দোলন-সংগ্রাম করবে। তাদের বক্তব্য জানাবে। প্রতিবাদ করবে। কিন্তু কী কারণে তারা আন্দোলন-সংগ্রাম করছে, সেটা জনগণের জানার পূর্ণ অধিকার আছে।
ঢাবির সাবেক এই উপাচার্য বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে যেসব নির্বাচন হচ্ছে সেগুলো যদি অবাধ-সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে সম্পন্ন হয়। তাতে নির্বাচন কমিশন একধাপ এগিয়ে যাবে। রাজনৈতিক দলগুলো যাই বলুক না কেন, সাধারণ মানুষের তারা আস্থা অর্জন করতে পারবে। কিন্তু এই সাধারণ মানুষের আস্থাটা নির্বাচন কমিশন অর্জন করতে পারে কিনা, সেজন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। সাধারণ মানুষের যদি আস্থা অর্জন তারা করতে পারে। সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতা অনুযায়ী যদি তারা তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে। তাহলে যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে না যাওয়ার কথা বলছে। তারাও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে। আমরা চাই, কোনো সহিংসতা ছাড়া নির্বাচন সম্পন্ন হোক। একটা গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনের বিকল্প নির্বাচন। নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোনো উপায় নেই। আশা করব, সেটি অনুসরণ করে, অনুধাবন করে দলগুলো তাদের রাজনৈতিক কৌশল বিবেচনা করবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়