ভারতের গমে রুবেলা ভাইরাস : অর্ধলাখ টন ফেরত দিল তুরস্ক

আগের সংবাদ

কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন : ভোরের কাগজের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার দাবি

পরের সংবাদ

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম : মানুষ এখন বিচার চায় না

প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে ধনীরা আরো ধনী আর গরিবরা আরো গরিব হয়েছেন। সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছেন, এখন তারা কোনো ঘটনার বিচার চান না।
বাম ঐক্য ফ্রন্টের ‘এই সময়ের রাজনীতি এবং করণীয়’- শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি সম্পূর্ণ পুঁজিবাদী রাষ্ট্র। ব্রিটিশ, পাকিস্তান শাসনামলে এটি বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছিল। পরবর্তীতে বাংলাদেশে এটিই বাস্তবায়ন হয়েছে। এটি বলার অপেক্ষা রাখে না, দেশে ধনীরা আরো ধনী হয়েছেন গরিবরা আরো গরিব হয়েছেন। সবাই বলছে, পুঁজিবাদ চলবে না, সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। পুঁজিবাদ তো আর পুঁজিবাদের বিকল্প হতে পারে না। সারা পৃথিবীতে একটা সামাজিক বিপ্লব হবে। আমাদের তার প্রস্তুতি নিতে হবে। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। সেজন্যই এ বিপ্লব দরকার।
তিনি বলেন, আমরা মাওলানা ভাসানীর ইতিহাস বুঝলে আমাদের করণীয় বুঝতে পারব। তিনি যে ১৪ দফা প্রণয়ন করেছিলেন, সেটি দেখলে আমরা বুঝতে পারব তার চিন্তা কত অগ্রসর ছিল। তবে তার জন্য কোনো বিপ্লবী সংগঠন ছিল না, প্রয়োজনীয় কার্যক্রম ছিল না সে সময়। বর্তমানে এই বিপ্লব বাস্তবায়ন করতে হলে সাংস্কৃতিক বিপ্লব এবং জ্ঞানের চর্চা দরকার।
বাংলাদেশের বামপন্থিরা নির্বাচনের মাধ্যমে কী চায় তা সাধারণ মানুষের কাছে পরিষ্কার ধারণা দিতে হবে জানিয়ে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বামপন্থিরা অনেক নির্বাচন বয়কট করেছে, বুর্জোয়ারাও করেছে।
বুর্জোয়ারা কেন বয়কট করেছে তা মানুষ বুঝতে পারে। কিন্তু বামপন্থিরা কেন করে তা মানুষ বুঝে না। বামরা কী চায় তা সাধারণ মানুষের কাছে পরিষ্কার হয় না। এটা পরিষ্কার করতে হবে।
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সময় সারা বিশ্বে সমাজতন্ত্রের বিপুল সম্ভাবনা ছিল জানিয়ে বামপন্থিদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, কিন্তু তখনই বামপন্থি নেতারা কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র গণসংগঠন ছেড়ে বিপ্লবী পার্টি করার সিদ্ধান্ত নিলেন। আমি মনে করি এটা সবচেয়ে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত ছিল। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময়ও বামপন্থিরাই আন্দোলন করেছে কিন্তু নেতৃত্ব তুলে দিয়েছিল শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়ার হাতে। বামপন্থিরা কোনোভাবেই নিজেদের মেরুদণ্ডের ওপর দাঁড়াতে পারছে না। তারা সব সময় মনে করে একটা বড় দল দরকার।
বাম ঐক্য ফ্রন্টের সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ নসুর সভাপতিত্বে সভায় মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন কমিউনিস্ট ইউনিয়নের আহ্বায়ক ইমাম গাজ্জালী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। চলছে ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা। বর্তমান সরকার বাঁচার জন্য একবার ধর্ম, একবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কাছে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাদের একচ্ছত্র আধিপত্য তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে ক্ষমতায় থাকাকালীন বিএনপি এত বেশি লুটপাট, গুম করেছে, ফলে বিপ্লবী গণঅভ্যুত্থান জরুরি হয়ে পড়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়