ঢাকায় সিপিবির সমাবেশ কাল

আগের সংবাদ

টার্গেট এবার রাজপথ দখল : পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ ও প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি

পরের সংবাদ

ব্রিটেনে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স

প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা (ইউকেএইচএসএ) জানিয়েছে, ইংল্যান্ডে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে মাঙ্কিপক্সের বিস্তার ঘটছে। পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার স্থানীয় মাঝারি উপসর্গের ভাইরাল এ রোগটি ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায় বলে ধারণা পাওয়া গেছে। মে মাসের আগে আফ্রিকার বাইরে এ রোগের তেমন কোনো প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি। এর আগে শুধু আফ্রিকায় ভ্রমণে গিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার নজির ছিল।
গত বুধবার যুক্তরাজ্যের সংস্থাটি জানায়, এই প্রথম ইংল্যান্ডে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে। এসব ব্যক্তিদের কেউ পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোতে ভ্রমণে গিয়েছিল বলেও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ইউকেএইচএসএ-এর তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে এ রোগে আক্রান্ত ১৩২ জন শনাক্ত হয়েছে, তাদের অধিকাংশই লন্ডনের বাসিন্দা। এদের মধ্যে ১১১ জন সমকামী, উভকামী অথবা অন্য ব্যক্তি যারা পুরুষদের সঙ্গে যৌন সংসর্গ করেছিল (জিবিএমএসএম)। আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র দুইজনই নারী।
এখনো পর্যন্ত ইউকেএইচএসএ গে বার, সাউনাস এবং ব্রিটেনে ও বিদেশে ডেটিং অ্যাপ ব্যবহারকারীদের সঙ্গে মাঙ্কিপক্স আক্রান্তদের সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছে বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সংস্থাটি বলছে, তদন্ত অব্যাহত আছে কিন্তু এখনো পর্যন্ত এই রোগের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো একক কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। লন্ডনের জনস্বাস্থ্যবিষয়ক পরিচালক কেভিন ফেনটন জানান, মাঙ্কিপক্সে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন, তবে সম্প্রতি যাদের রোগ ধরা পড়েছে তাদের মধ্যে জিবিএমএসএম সম্প্রদায়ের অনেকে আছেন যারা লন্ডনে বাস করেন বা নগরীটির সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে। তিনি বলেন, নতুন কোনো রোগের প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে সম্মানহানি ও অনিশ্চিয়তার বিরাট ঝুঁকি থাকে।

ইনসাইডার ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাঙ্কিপক্স রোগে ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। ফুসকুড়ির মুখে পুঁজ থাকে এবং প্রচণ্ড ব্যথা হয়। এই ফুসকুড়িগুলো কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত সংক্রমণক্ষম থাকে। প্রচণ্ড ছোঁয়াচে এই রোগের ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির বিছানার চাদর বা তার স্পর্শ করা যে কোনো জিনিস থেকে ছড়িয়ে পড়া সম্ভব। তবে এই রোগে মৃত্যুর হার ১ শতাংশ। আফ্রিকার বাইরে মাঙ্কিপক্স রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। তবে ইউরোপেই অধিকাংশ রোগী শনাক্ত হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা এই প্রাদুর্ভাবের পেছনের কারণগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। গত বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, তারা এ পর্যন্ত ৩০টি দেশ থেকে ৫৫০ জনেরও বেশি রোগী শনাক্ত হওয়ার নিশ্চিত খবর পেয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়