ঢাকায় সিপিবির সমাবেশ কাল

আগের সংবাদ

টার্গেট এবার রাজপথ দখল : পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ ও প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি

পরের সংবাদ

বিশ্বকাপের স্বপ্ন ধরে রাখল ইউক্রেন

প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্লে-অফ ম্যাচে গতকাল স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হয় যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন। এই ম্যাচে স্বাগতিক স্কটল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের স্বপ্নটা বাঁচিয়ে রেখেছে তারা। আবেগময় এই ম্যাচে ম্যাচজুড়ে দাপট ধরে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে ইউক্রেন। আগামী রবিবার কার্ডিফে ওয়েলসের বিপক্ষে জয় পেলেই যুদ্ধরত ইউক্রেন ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। ওয়েলসের বিপক্ষে জয় পেলে ইংল্যান্ড, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এক গ্রুপে থেকে বিশ্বকাপে অংশ নিবে।
ইউক্রেন-স্কটল্যান্ড ম্যাচটি গত ২৪ মার্চ হওয়ার কথা ছিল। তবে যুদ্ধের কারণে ফিফার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যাচটি পিছিয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করে ইউক্রেন। আর সেই ম্যাচটিই অনুষ্ঠিত হয়েছে বুধবার রাতে। ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর ইউক্রেন বিশ্বকাপে খেলেছে একবারই। ২০০৬ সালে প্রথম আসরে অংশ নিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে যায় তারা। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির সামনে এবার দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ খেলার হাতছানি।
গøাসগোর হ্যাম্পডেন পার্কে ম্যাচের ৩৩ মিনিটে আন্দ্রে ইয়ারমোলেঙ্কোর বাম পায়ের গোলে প্রথমে এগিয়ে যায় ইউক্রেন। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে ইউক্রেন।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার পরপরই ব্যবধান দ্বিগুণ করে ইউক্রেন। ৪৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি আসে রোমান ইয়ারেমচুকের হেড থেকে। ওলেক্সান্ডার কারাভায়েভের ক্রস থেকে ভেসে আসে বলে মাথা লাগিয়ে জালে জড়ান ইয়ারেমচুক।
৭৯ মিনিটে স্কটল্যান্ডের হয়ে একটি গোল শোধ করেন কলাম ম্যাকগ্রেগার। বাম পায়ের দুর্দান্ত এক শটে গোল করে ব্যবধান কমান তিনি। ম্যাচ শেষ হওয়ার খানিক আগে যোগ করা সময়ে বাম পায়ের শটে গোল করে স্কটল্যান্ডের পরাজয়ের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন আর্তেম ডভোবায়েক।
স্বাগতিক স্কটল্যান্ডের এ হারে ১৯৯৮ সালের পর বিশ্বকাপে খেলার অপেক্ষা আরো বাড়ল।
ম্যাচ শেষে ইউক্রেন কোচ পেত্রাকভ বলেন, আমার আর কোনো আবেগ নেই। ভেতরের সব আবেগ আমি মাঠে দিয়ে এসেছি। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়টা আমার নয়, আমাদের নয়, এই জয় ওই সেনাদের, যারা মাতৃভূমির জন্য নিজেদের শেষ রক্তবিন্দু ঢেলে দিয়ে যুদ্ধ করছেন। এই জয় আমার মাতৃভূমির। দেশের জন্য বিশাল এক জয় এটি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়