ঢাকায় সিপিবির সমাবেশ কাল

আগের সংবাদ

টার্গেট এবার রাজপথ দখল : পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ ও প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি

পরের সংবাদ

খাদ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি : মজুতদারদের বিরুদ্ধে স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট

প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সারাদেশে ধান-চাল অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান আরো জোরদার করতে হবে। এ ঘোষণা দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট ১৯৭৪ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘বোরো ২০২২ মৌসুমে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও বাজার মনিটরিংসংক্রান্ত অনলাইন মতবিনিময় সভায়’ তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের জেলা প্রশাসক, কৃষি বিভাগের উপপরিচালক, খাদ্য বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা ও মিল মালিকরা যুক্ত ছিলেন।
গত ১ জুন বুধবার থেকে সারাদেশে অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে আট বিভাগে কয়েকশ প্রতিষ্ঠানে জরিমানা করা হয় প্রায় ২৪ লাখ টাকা।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, একটি মহল খাদ্য ঘাটতির বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। দেশে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা নেই। তবে ফুড গ্রেইন লাইসেন্স প্রদান ও নবায়নে জোর দিতে হবে। কেউ যেন লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা না করতে পারে, অবৈধ মজুত করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। বড় বড় করপোরেট হাউসগুলো ধান-চাল সংগ্রহ করছে। নিজস্ব মিল ও অনুমোদন না থাকলে তারা যেন ধান-চালের ব্যবসায় যুক্ত না হয় সেটা নিশ্চিতে ধান-চালের বাজারে নজরদারি বাড়াতে হবে।
প্রতিবেশী দেশগুলোতে চাল ও গমের দাম কমতে শুরু করেছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সে দেশগুলো চাল ও গম রপ্তানি করবে মর্মে পত্রও দিচ্ছে। প্রয়োজনে ট্যাক্স কমিয়ে চাল আমদানি করা হবে। তবুও বাজার অস্থির করতে দেয়া হবে না।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে জারি করা বিধিতে বলা হয়, সরকারের অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যবসায়ী এক টনের বেশি খাদ্যসামগ্রী তার অধিকারে রাখতে পারবেন না। অনুমোদিত ব্যবসায়ীদের মধ্যে পাইকারি ব্যবসায়ী সর্বোচ্চ ৩০০ টন ধান অথবা চাল ত্রিশ দিন পর্যন্ত মজুত রাখতে পারবেন।
খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১৫ টন ধান অথবা চাল ১৫ দিন মজুত রাখতে পারবেন। চালকল মালিকরা পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতার ৫ গুণ ধান সর্বোচ্চ ৩০ দিন মজুত রাখতে পারবেন। পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতার দ্বিগুণ চাল সর্বোচ্চ ১৫ দিন মজুত রাখা যাবে। হাস্কিং মিল মালিকরা সর্বোচ্চ ১০০ টন ১৫ দিন মজুত রাখতে পারবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়