জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : ১০ বছরেও ক্লাসরুম আইন অনুষদ

আগের সংবাদ

প্রতিযোগিতার বাজারে ডলার : দাম নিয়ন্ত্রণ থেকে পিছু হটল কেন্দ্রীয় ব্যাংক > টাকার মান কমল ৯০ পয়সা

পরের সংবাদ

৪ প্রতারক গ্রেপ্তার : চাকরি প্রার্থীদের ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর মিরপুর ও মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- হেলাল উদ্দিন (৫১), মফিজুল ইসলাম ওরফে লেবু (৪৭), খন্দকার মারুফ (৩৭) ও আব্দুল কাদের ওরফে রাজু (২৯)। গত মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
র‌্যাব জানিয়েছে, পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা পরিচয়ে সরকারি চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতি করে আসছিল গ্রেপ্তারকৃতরা। এ চক্রের হোতা হেলাল উদ্দিন। চাকরিপ্রার্থীদের আর্থিক অবস্থাভেদে প্রার্থী প্রতি ৫-৯ লাখ টাকা পর্যন্ত নিত তারা। প্রায় ৫ বছর ধরে ৫০ জন চাকরিপ্রার্থী ও অভিভাবকের সঙ্গে প্রতারণা করে প্রায় ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সংস্থার ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ সিল, ১১ পাতা ভুয়া নিয়োগপত্র, তিন পাতা নিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তিপত্র, ৮টি মোবাইল ফোন ও নগদ সাড়ে ২১ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
সরকারি চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে ওই ৪ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর র‌্যাব-৩ এর টিকাটুলির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে র‌্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে.কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রেপ্তার মফিজুল ইসলাম লেবু ও আব্দুল কাদের রাজু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে লালমনিরহাট, বগুড়া, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে চাকরিপ্রার্থী ও তাদের অভিভাবকদের হেলাল উদ্দিনের কাছে নিয়ে আসতেন। তিনি বস সেজে চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নিতেন। পরে ভাড়া করা গাড়িতে সরকারি বিভিন্ন অফিসে যেতেন। প্রার্থীদের গাড়িতে বসিয়ে রেখে নিজে নেমে অফিসে ঢুকতেন। দীর্ঘসময় পর বের হতেন। এভাবে প্রার্থীদের আস্থা অর্জন করতেন। র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ সিল ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ভুয়া সই সংবলিত অফিস আদেশ ও ভুয়া নিয়োগপত্র খামে করে ভুক্তভোগীদের হাতে ধরিয়ে দিতেন। ভুক্তভোগীদের সামনে সঠিকভাবে উপস্থাপন ও বিশ্বস্ততা অর্জনের জন্য মেডিকেল পরীক্ষার নামে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নিয়ে যেতেন। প্রথমে তারা প্রতিশ্রæতি দিতেন, চাকরি হওয়ার পর টাকা নেয়া হবে।
তবে বিভিন্ন অজুহাতে চাকরিপ্রার্থী ও তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে ভুয়া নিয়োগ দেয়ার আগের রাতে তারা বলতেন, আরো টাকা দিতে হবে। না হলে আগামীকাল চাকরি নিশ্চিত করা যাবে না। ভুক্তভোগীরা সরকারি চাকরি পাওয়ার আশায় তাদের চাহিদামতো অগ্রিম টাকা দিতেন। গ্রেপ্তার খন্দকার মারুফ চক্রের হোতা হেলাল উদ্দিনের অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। চাকরি প্রার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অধিক বিশ্বাস স্থাপনের জন্য হেলাল উদ্দিনও খন্দকার মারুফের সহায়তা নিতেন। মারুফ ক্ষমতাসীন দলের নেতা, সরকারি কর্মকর্তা ও একটি বিশেষ অঞ্চলের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম ভাঙিয়ে নিজেকে জাহির করতেন। গ্রেপ্তারকৃতদের প্রত্যেকেই আর্থিক লাভের আশায় প্রতারণার আশ্রæয় নিয়েছেন বলে স্বীকারও করেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়