জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : ১০ বছরেও ক্লাসরুম আইন অনুষদ

আগের সংবাদ

প্রতিযোগিতার বাজারে ডলার : দাম নিয়ন্ত্রণ থেকে পিছু হটল কেন্দ্রীয় ব্যাংক > টাকার মান কমল ৯০ পয়সা

পরের সংবাদ

৩ প্রতারক গ্রেপ্তার : পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার প্রলোভন দেখাত চক্রটি

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রদিবেদক : ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে আবেদন করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখাত চক্রটি। বিনিময়ে আবেদনকারীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হতো মোটা অঙ্কের টাকা। এমনই এক প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পল্টন মডেল থানা পুলিশ। তারা হলো- মাসুদ মিয়া, কামাল হোসেন ও গোলাম কিবরিয়া।
গত মঙ্গলবার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদনকারী মাসুদ মিয়াকে ফার্মগেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের সদস্য কামাল হোসেনকে খিলক্ষেত এলাকা ও গোলাম কিবরিয়াকে কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল বুধবার পল্টন থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) আবদুল আহাদ বলেন, গত ২০ এপ্রিল মাসুদ মিয়া পুলিশ কমিশনার বরাবর অনলাইনে একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করেন।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্সটি তদন্তকালে আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত অনলাইন ডকুমেন্ট সন্দেহ হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে গোপনে তদন্ত পরিচালনা করা হয়।
আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্রটি যাচাই করে প্রত্যয়নপত্রটির স্বাক্ষর ও প্রত্যয়নপত্রটি সঠিক নয় বলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিখিতভাবে জানান। পরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামি মাসুদ মিয়ার নামে নরসিংদীর মাধবদী থানায় একাধিক মামলা থাকায় সে বিদেশ যাওয়ার জন্য পল্টন মডেল থানার ঠিকানা ব্যবহার করে। পল্টন মডেল থানা থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সংগ্রহের জন্য কামাল হোসেনকে ৩০ হাজার টাকা চুক্তিতে পাসপোর্ট দেয়।
এরপর কামাল হোসেন ২৮ হাজার টাকার চুক্তিতে গোলাম কিবরিয়াকে পাসপোর্ট দেন। আবদুল আহাদ বলেন, চক্রটি পরস্পর যোগসাজশে মূল পাসপোর্টের তথ্যপাতা স্ক্যান করে জরুরি যোগাযোগের ঠিকানা কম্পিউটারের মাধ্যমে এডিট করে পল্টন মডেল থানার একটি ঠিকানা ব্যবহার করে এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ভুয়া প্রত্যয়নপত্র সংযুক্ত করে। পাসপোর্টধারীর ঠিকানা পরিবর্তন ও এডিট করা পাসপোর্টের ফটোকপিতে জাল সিল ও জাল স্বাক্ষর করে সত্যায়নকারী চিকিৎসকের সিল ও স্বাক্ষর ভুয়া তৈরি করে সত্যায়নপূর্বক পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করে।
আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সনদপত্র, জাল সিল তৈরি করে পাসপোর্টধারীর ঠিকানা পরিবর্তন করে এডিট করা পাসপোর্টের ফটোকপিতে জাল সিল ও স্বাক্ষর করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন করে আসছিল। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে বিভ্রান্ত করে টাকার বিনিময়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স তৈরি করে দেবে বলে প্রতারণা করছিল। আগেও তারা ছয়টি ভুয়া আবেদন করেছিল, যা পল্টন থানা রিজেক্ট করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়