জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : ১০ বছরেও ক্লাসরুম আইন অনুষদ

আগের সংবাদ

প্রতিযোগিতার বাজারে ডলার : দাম নিয়ন্ত্রণ থেকে পিছু হটল কেন্দ্রীয় ব্যাংক > টাকার মান কমল ৯০ পয়সা

পরের সংবাদ

স্বাস্থ্যমন্ত্রী : আগামীতে স্বাস্থ্যসেবায় আরো স্বচ্ছতা আসবে

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশে অনুমোদনহীন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। এ অভিযানের উদ্দেশ্য কাউকে হেনস্তা করা নয় বরং স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মন্ত্রী বলেছেন, আমরা চাই দেশের মানুষ যাতে সঠিক চিকিৎসা পায়, ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। যারা ভালো কাজ করছে তাদের আমরা সহযোগিতা করব। যারা অন্যায় করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত যা ব্যবস্থা আছে সেটাই আমরা গ্রহণ করব। আমরা আশা করছি, আগামীতে স্বাস্থ্যসেবায় আরো স্বচ্ছতা আসবে এবং মান আরো ভালো হবে।
জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস-২০২২ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলম। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সেনাল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (উন্নয়ন ও প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ২ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হিসেবে জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় অধিদপ্তর। চলতি বছর ২ মে ঈদুল ফিতরের ছুটি থাকায় দিবসটি গতকাল পালিত হয়। অধিদপ্তরের প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন অধ্যাপক ডা. তোফাজ্জল হোসেন।
জাহিদ মালেক বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে যাতে ঠিকমতো চিকিৎসক ও যন্ত্রপাতি থাকে সেদিকে কঠোর নজর দিচ্ছে সরকার। হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ১১ হাজারের বেশি। সেগুলোর মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আমাদের অধিদপ্তর এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত।
মানহীন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া, সতর্ক করে দেয়া অথবা তাদের সময় দিয়ে যেসব জায়গা সংশোধন করার প্রয়োজন তা নির্দেশনা দিয়ে ঠিক করা। মানুষ যেন প্রতারিত না হয়, ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে নজর দেয়া আমাদের দায়িত্ব।

করোনা প্রতিরোধী টিকা কার্যক্রম ও ৪ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া বুস্টার ডোজ ক্যাম্পেইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের টিকা কর্মসূচি চলমান আছে। আগামী ৪ জুন থেকে বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইন শুরু হবে। এখনো ৮-১০ কোটি মানুষ বুস্টার ডোজের বাইরে। পাশাপাশি অনেকে এখনো প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেননি। দ্রুত আমাদের বুস্টার ডোজ নেয়া উচিত। আপনারা সুরক্ষিত থাকলে আপনার পরিবার সুরক্ষিত থাকবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়