কাগজ ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে গতকাল এক বিবৃতির মাধ্যমে নতুন জীবনের কথা উল্লেখ করেছেন বিসিসিআইয়ের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি। এরপরই ভারতীয় গণমাধ্যমে উঠে আসে বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করছেন তিনি। তবে বিসিসিআই সচিব জয় শাহ জানিয়েছেন, সৌরভ পদত্যাগ করেননি। ২০১৯ সালের অক্টোবরে বিসিসিআইয়ের সভাপতি হয়েছিলেন সৌরভ। এই বছরই শেষ হতে যাচ্ছে তার মেয়াদ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদায়ের সুরে এক টুইটে সৌরভ লিখেছেন, ২০২২ সাল দিয়ে আমার ক্রিকেটে ১৯৯২ সাল থেকে শুরু যাত্রার ৩০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। তখন থেকে ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, এটি আমাকে আপনাদের সবার সমর্থন এনে দিয়েছে। এই সফরে যারা অংশীদার ছিলেন, আমাকে সমর্থন করেছেন, আজ আমি যে অবস্থানে সেখানে পৌঁছাতে সাহায্য করেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। এই টুইটের পরই আরেকটি টুইট করেছেন তিনি। যেখানে বলেছেন, আমি নতুন কিছু শুরু করতে চাইছি, যেটি অনেক মানুষকে সাহায্য করবে। আশা করি জীবনের এই নতুন পথচলায়ও আপনাদের সবার সমর্থন পেতে থাকব।
মিনিট দশেকের মধ্যে এমন দুই খবরের জন্য ভারতীয় ক্রিকেটবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ক্রিকট্র্যাকার জানিয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। তবে ভারতের আরো দুই সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ ও এএনআই নিউজ কিছুক্ষণ পরই বিসিসিআই সচিব জয় শাহকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, সৌরভ পদত্যাগ করেন। সৌরভ গাঙ্গুলির নতুন জীবন শুরু অনেকটা ভারতীয় রাজনীতিতে তার প্রবেশ করার ইঙ্গিত দিচ্ছে। স¤প্রতি সৌরভের বেহালার বাড়িতে গিয়ে নৈশভোজ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
প্রায় এক ঘণ্টার মতো সময় সৌরভের বাড়িতে ছিলেন অমিত শাহ। বেশ একটা সময় আলাপ হয়ে তাদের মাঝে। অমিত শাহের সঙ্গে সেই সময় ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত।
২০১৯ সালের অক্টোবরে সৌরভ গাঙ্গুলিকে বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এর আগে তিনি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল তথা সিএবির প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন। ২০১৫ সালে সিএবির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন তিনি। সৌরভ গাঙ্গুলির সময়কালে ভারতীয় ক্রিকেটে অনেক অদলবদল হয়েছে। বিতর্কও তৈরি হয়েছে বেশ। বিশেষ করে বিরাট কোহলির নেতৃত্ব নিয়ে। তবে কোভিডের জন্য ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে ডামাডোল কম ছিল। রাহুল দ্রাবিড়কে কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বড় চমক দিয়েছেন সৌরভ। দ্রাবিড়ের জায়গা এনসিএ প্রধান হিসেবে ভিভিএস ল²ণকে নিয়োগ করা হয়। এটাও ছিল তার একটা বড় পদক্ষেপ। কিন্তু বিরাট কোহলির সঙ্গে তার বিরোধ ঘিরে একটি বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, কোহলিকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর পেছনে মূলত দায়ী ব্যক্তি হলেন সৌরভ। যদিও এ ঘটনা সৌরভকে কতটা প্রভাবিত করবে বা কে ভুল, কে ঠিক- এর তুল্যমূল্য বিচার করা খুবই কঠিন। কারণ প্রকৃত সত্য কেউ প্রকাশ করেনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।