এম বশির উল্লাহ, মহেশখালী (কক্সবাজার) থেকে : মহেশখালীতে অতিরিক্ত বালু উত্তোলনে ফলে ভাঙনের মুখে প্রধান সড়ক। নজর নেই প্রশাসনের। কক্সবাজার জেলার দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর হোয়ানক ধলঘাট পাড়া সংলগ্ন গোরকঘাটা-জনতাবাজার প্রধান সড়কের পাশ থেকে বালুখেকোরা অতিরিক্ত বালু উত্তোলন করে পাচারের ফলে হুমকির মুখে পড়ছে মহেশখালীর প্রধান সড়ক। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এ সড়কের উন্নয়নকাজ শেষ হতে না হতেই সড়কের এ অবস্থা সৃষ্টি হলেও এ নিয়ে প্রশাসনের নজরদারি নেই।
দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্য বালুখেকোরা সড়কের পাশ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রির ফলে সড়কের বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিলেও নজরে পড়েনি প্রশাসনের। ফলে বালুখেকোরা দেদার অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে চলতি বর্ষায় সড়কের নাজুক অবস্থা সৃষ্টি হবে বলে অনেকের অভিমত। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয়রা দ্রুত প্রশাসনের অভিযানের দাবি জানান।
জানা যায়, মহেশখালীবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি বাস্তবায়নে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার এমপি আলহাজ আশেক উল্লাহ রফিকের আপ্রাণ চেষ্টায় টেকসইভাবে এ সড়কটি সংস্কার করা হয়। গত বছরের ১০ নভেম্বর ‘জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২৭.২৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে সড়কটি প্রায় ৫৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫৮ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। সড়কটি উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এই সড়কটি টেকসই হওয়ায় মহেশখালীবাসী বেশ আনন্দিত হয়েছিল। কিন্তু সড়কটির পাশ থেকে কয়েকটি স্থানে বালুখেকোরা বালি উত্তোলন করে বিক্রির জন্য সড়কটি দিনে দিনে ভেঙে যাচ্ছে। এই বর্ষায় এ অবস্থা আরো করুণ হবে বলে অনেকের অভিমত।
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ধলঘাট পাড়ার পানি চলাচলের প্রণালিতে বালু থাকে। কয়েকজন চিহ্নিত বালুখেকো অবৈধভাবে সড়কের পাশ থেকে এ বালু উত্তোলন করে ডাম্পারযোগে বিক্রির করায় প্রধান সড়কটিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সড়কটি রক্ষা করা কঠিন হবে।
এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম জানান, যারাই বালু উত্তোলন করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। বালু উত্তোলনে জড়িতদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন তিনি।