জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : ১০ বছরেও ক্লাসরুম আইন অনুষদ

আগের সংবাদ

প্রতিযোগিতার বাজারে ডলার : দাম নিয়ন্ত্রণ থেকে পিছু হটল কেন্দ্রীয় ব্যাংক > টাকার মান কমল ৯০ পয়সা

পরের সংবাদ

বিয়ানীবাজার পৌর নির্বাচন : ৩ বিদ্রোহী নিয়ে বিপাকে আ.লীগ দশ মেয়র প্রার্থীর ৬ জন প্রবাসী

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিয়ানীবাজার (সিলেট) প্রতিনিধি : আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে বিয়ানীবাজার পৌরসভার দ্বিতীয় নির্বাচন। নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন ১০ জন প্রার্থী। পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও কমিউনিস্ট পার্টি। বিএনপি, জামায়াত কোনো প্রার্থী না দিলেও জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী স্বতন্ত্রভাবে অংশ নিচ্ছেন। সরকারি দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন সাবেক মেয়র আব্দুস শুকুর, তবে নৌকা না পেয়ে বিদ্রোহী হয়ে চামচ প্রতীকে বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক জিএস ফারুকুল হক, হেমলেট প্রতীকে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস টিটু, কম্পিউটার প্রতীকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আহবাব হোসেন সাজু। বিদ্রোহী এই তিন প্রার্থীকে নিয়ে বিপাক পড়েছে আওয়ামী লীগ। জনসমক্ষে এক সারিতে থাকলেও বিদ্রোহী প্রার্থীদের তৎপরতায় ভেতরে ভেতরে চার ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এতে হতাশা বিরাজ করছে নেতাকর্মীদের মনে। তাদের অভিযোগ স্থানীয় এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদসহ জেলা, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ সময় মতো উদ্যোগ নিলে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না। নাম প্রকাশ না করে পৌর আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, আমাদের এমপি দলের দুঃসময়ে কোনো ভূমিকা রাখেন না অথচ দল তাকে বারবার নির্বাচিত করেছে।
এদিকে বিদ্রোহী তিন প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মনে করেন সমস্যা সমাধানের কোনো চেষ্টা না করে এ বহিষ্কারাদেশ দলকে আরো বিভক্ত করবে। নাম প্রকাশ না করে পৌর আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন- মন্ত্রী, এমপি, জেলা, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিদ্রোহীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় পর্যন্ত সমস্যা সমাধানের কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখলাম না, এখন এই বহিষ্কারাদেশ কী কাজে আসবে। এটা নৌকা ডুবানোর চক্রান্ত।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান খান ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাকসুদল ইসলাম আউয়াল বলেন, আমরা শুরু থেকেই চেষ্টা করছি যাতে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী না হন। এখনো চেষ্টা অব্যাহত আছে। আশা করি সবাই ঐক্যের গুরুত্ব উপলব্ধি করে বঙ্গবন্ধুর নৌকার সম্মান রক্ষা করবেন।
এদিকে পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে জমজমাট প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে বিয়ানীবাজার পৌর শহরসহ আশপাশ, আর প্রচারণায় এগিয়ে আছেন প্রবাসী প্রার্থীরা। এবার নির্বাচনে মোট ১০ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৬ জনই প্রবাসী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সাবেক মেয়র ও তিন বিদ্রোহীসহ মোট ৪ জনই প্রবাসী। এছাড়া মোবাইল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস সবুর ও নারিকেল প্রতীকে অজি উদ্দিনও রয়েছেন প্রবাসী তালিকায়। প্রবাসী প্রার্থী ছাড়াও জগ প্রতীকে নির্বাচন করছেন সাবেক পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেন, হেঙ্গার প্রতীকে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী আব্দুস সামাদ, কমিউনিস্ট পার্টির কাস্তে প্রতীকে এড. আবুল কাশেম ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে সোনাম উদ্দিন।
প্রবাসী প্রার্থীদের তৎপরতায় এবার মেয়র পদে জমজমাট নির্বাচনী লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের তৎপরতায় সরগরম হয়ে উঠেছে পৌর এলাকাসহ গোটা উপজেলা, বিরাজ করছে নির্বাচনী কর্মচাঞ্চল্য। আগামী ১৫ জুন বিয়ানীবাজার পৌরসভার ২৭ হাজার ৩৬৯ জন ভোটার তাদের পৌর পিতা নির্বাচন করবেন প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট প্রদানের মাধ্যমে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়