জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : ১০ বছরেও ক্লাসরুম আইন অনুষদ

আগের সংবাদ

প্রতিযোগিতার বাজারে ডলার : দাম নিয়ন্ত্রণ থেকে পিছু হটল কেন্দ্রীয় ব্যাংক > টাকার মান কমল ৯০ পয়সা

পরের সংবাদ

বিমানে বরখাস্ত ৫২ কর্মচারীর ১৩ জন স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেছেন, স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে গত এক বছরে ১৩ কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কুর্মিটোলায় বিমান বাংলাদেশ ট্রেনিং সেন্টারে গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তিনি। আবু সালেহ বলেন, স্বর্ণ চোরাচালানসহ বিভিন্ন অপরাধে গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভাগীয় মামলা হয়েছে ২০২টি। এর মধ্যে শাস্তি নিশ্চিত করা হয়েছে ১৭৮ জনের। এদের মধ্যে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন ৫২ জন। এছাড়া তিনজনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়। এর মধ্যে একজন ককপিট ক্রু আছেন। একজন কেবিন ক্রুকেও অপসারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, বরখাস্ত ৫২ জনের মধ্যে ১৩ জন স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা আছে। সেটা আদালতের গতিতে চলছে। আমাদের এখান থেকে তারা বরখাস্ত হয়েছেন। দুজনের পদাবনতি হয়েছে। বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি বন্ধ করা হয়েছে ১৫ জনের। অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে ৯ জনকে। তিরস্কার করা হয়েছে ২৫ জনকে। কঠোর সতর্ক করা হয়েছে ৩৬ জনকে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কর্মীদের বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগ বেশ পুরনো। গত ২৬ মে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থিত বিমানের ক্যাটারিং সেন্টার- বিএফসিসিতে ৭ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে ৮ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এরপর বিষয়টি নিয়ে আবারো আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। বিমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে অপারেটর, এয়ারলাইনস কমবেশি তাদের লোকজন জড়িত, এটাকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। না থাকলে এটা আসে কীভাবে? আগে বড় চালানে স্বর্ণ ধরা পড়ত, এখন ৬-৭টা ধরা পড়ছে। আগে স্বর্ণ আমদানি করত না কিন্তু নীতিমালা হওয়ার পর বিরাট লাইন দেখা যায় কাস্টমসে। তারপরও আসছে। তিনি বলেন, একজন পাইলট যে সিলেবাসে লেখাপড়া করেন, একজন ইঞ্জিনিয়ারও একই সিলেবাসে লেখাপড়া করেন। নিজেদের প্রয়োজনে এমন ২৭ জনকে বিমান রেখে দিয়েছে। আমরা তাদের ইউটিলাইজ করছি। সিসিটিভি বাড়িয়েছি, বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে যাতে দেখা যায়। নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ও করছি। নতুন কিছু ইকুইপমেন্টও লাগাচ্ছি। ভৌত অবকাঠামো দিয়ে পথ রুদ্ধ করার চেষ্টা করছি। এগুলো করা হচ্ছে যাতে ধীরে ধীরে এগুলো কমে আসে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়