জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : ১০ বছরেও ক্লাসরুম আইন অনুষদ

আগের সংবাদ

প্রতিযোগিতার বাজারে ডলার : দাম নিয়ন্ত্রণ থেকে পিছু হটল কেন্দ্রীয় ব্যাংক > টাকার মান কমল ৯০ পয়সা

পরের সংবাদ

নামে-বেনামে বিপুল সম্পদ : আইডিআরএ চেয়ারম্যানের সম্পদের হিসাব চায় দুদক

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেনকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিস দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা নোটিসে আগামী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মোশাররফ হোসেনের রাজধানীর শেওড়াপাড়ার বাসার ঠিকানায় পাঠানো নোটিসে বলা হয়, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে দুদকের স্থির বিশ্বাস জন্মেছে যে, আপনি জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ/সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। আপনার নিজ ও আপনার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তির নামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী কমিশনে দাখিল করবেন। এ আদেশ প্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হলে কিংবা মিথ্যা সম্পদ বিবরণী দাখিল করলে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ৫(২) ধারা মোতাবেক আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দুদক সূত্র জানায়, আইডিআরএ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনা ঘুষ দাবির অভিযোগে ২০২১ সালের ৪ মার্চ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। দুদক উপপরিচালক নুরুল হুদাকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা এবং সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে তদারককারী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। অনুসন্ধান পর্যায়ে তাকে তলবও করা হয়েছিল। একই বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি গুলশানের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডেল্টা লাইফের কাছে ঘুষ চাওয়া হয়েছিল বলে আইডিআরএ চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। পরে ১৭ ফেব্রুয়ারি আইডিআরএ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ অসত্য ও বানোয়াট দাবি করে দুদকের কাছে অভিযোগ প্রত্যাহারের আবেদন জানায় ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
ঘুষের অভিযোগ কেন করা হয়েছিল, আবার তা কেন প্রত্যাহার চাওয়া হলো, প্রশ্ন রেখে ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন দুদক সচিব ড. মু আনোয়ার হোসেন হাওলাদার গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, দুদক আইনে অভিযোগ প্রত্যাহারের সুযোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। তবে

অভিযোগ যদি সুস্পষ্ট থাকে তাহলে তদন্ত শুরু হবে। এক্ষেত্রে প্রত্যাহারের আবেদন তদন্ত কর্মকর্তার কাছে যাবে। তদন্তকারী কর্মকর্তা খতিয়ে দেখবেন, কেন অভিযোগ করা হয়েছিল আবার কী কারণে তা প্রত্যাহার চাওয়া হলো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়