জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : ১০ বছরেও ক্লাসরুম আইন অনুষদ

আগের সংবাদ

প্রতিযোগিতার বাজারে ডলার : দাম নিয়ন্ত্রণ থেকে পিছু হটল কেন্দ্রীয় ব্যাংক > টাকার মান কমল ৯০ পয়সা

পরের সংবাদ

দেলোয়ার খুনের নেপথ্যে পরকীয়া

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি : দোকান ঘর নিয়ে নয়, পরকীয়ার কারণে খুন হন পীরগাছার ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন। গত মঙ্গলবার রাতে রংপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রধান আসামি ফারুক মিয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য জানান। দুই মাস আগে স্ত্রীর সঙ্গে ফারুকের তালাক হওয়া এবং সন্তানদের নিয়ে উদ্বিগ্ন ফারুক মিয়া ক্ষোভের কারণে ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনকে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। গতকাল বুধবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন রংপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) আশরাফুল আলম পলাশ। এর আগে পীরগাছা থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি যৌথ দল টানা ৭২ ঘণ্টার বিশেষ অভিযান চালিয়ে মিঠাপুকুর উপজেলার জায়গীর হাট আলীর মোড় নামক স্থান থেকে থেকে মামলার প্রধান আসামি ফারুক মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়। বিকালে ফারুক মিয়াকে আদালতে পাঠানো হলে সেখানে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে খুনের নেপথ্যের কারণ জানান ফারুক মিয়া।
রংপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামি ফারুক মিয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেন বিচারক মো. আবু হেনা সিদ্দিকী।
জবানবন্দিতে ফারুক মিয়া হত্যার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। দোকান ভাড়ার টাকা নিয়ে ফারুক মিয়ার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন। এ কারণে গত ২ মাস আগে ফারুক মিয়ার স্ত্রীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর তার ৩ সন্তানদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন মাদকাসক্ত ফারুক মিয়া। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি দেলোয়ারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। হত্যার পর তিনি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় ছুরিটি তার বোনের বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেন এবং রাতে পাশের একটি জঙ্গলে লুকিয়ে থেকে পরদিন সকালে মিঠাপুকুরে চলে যান। সেখানে তিনি এক কাঁচামাল ব্যবসায়ীর বাড়িতে আশ্রয় নেন। জবানবন্দি শেষে আদালত ফারুকের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
এদিকে দেলোয়ার হোসেনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করার পর তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে দেলোয়ার হোসেন আসামি ফারুকের নাম বলে গেলে অনেকে বিষয়টি গোপন করায় ফারুক মিয়া পরদিন পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান বলে জানান এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মে রাতে পীরগাছা উপজেলার অনন্তরাম সরকারটারী রেললাইনের ধারে ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন হত্যার শিকার হন। দেলোয়ার হোসেন (৩৬) ওই গ্রামের সবুর উদ্দিনের ছেলে। তিনি বিভিন্ন মৌসুমে ধান, গম, ভুট্টা গুদামজাত রেখে ব্যবসা করতেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়