জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : ১০ বছরেও ক্লাসরুম আইন অনুষদ

আগের সংবাদ

প্রতিযোগিতার বাজারে ডলার : দাম নিয়ন্ত্রণ থেকে পিছু হটল কেন্দ্রীয় ব্যাংক > টাকার মান কমল ৯০ পয়সা

পরের সংবাদ

তারেকপতœী জোবায়দা রহমানকে পলাতক ঘোষণা

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবদেক : ওয়ান-ইলেভেনের সময়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের করা মামলার আসামি তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে পলাতক ঘোষণা করেছেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে ২০০৮ সালে আদালতে আত্মসমর্পণ না করে হাইকোর্ট কীভাবে এ মামলা শুনলেন তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ।
গতকাল বুধবার তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের দুর্নীতি মামলার ১৬ পাতার রায়ে এসব বিষয় তুলে ধরেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
পলাতক আসামি দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে কোনো আবেদন করতে পারবেন না উল্লেখ করে আপিল বিভাগ বলেন, ২০০৮ সাল থেকেই পলাতক হিসেবে গণ্য হবেন তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা। হাইকোর্টের দেয়া আট সপ্তাহের মধ্যে জোবাইদার আত্মসমর্পণের আদেশ বাতিল করেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের লিখিত রায়ে বলা হয়, পলাতক আসামির মামলা শুনে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে আইনবহির্ভূতভাবে জোবায়দাকে দেয়া হয়েছে অতিরিক্ত সুবিধা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমানের দুর্নীতি মামলা চলবে বলে গত ১৩ এপ্রিল রায় দেন আপিল বিভাগ। কিন্তু সেই রায়ের কোনো ব্যাখ্যা সেদিন দেননি দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃাধীন আপিল বেঞ্চ বলেন, শত বছরের নজির ভেঙে জোবায়দার মামলা গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট, যা অবৈধ এবং সংবিধান লঙ্ঘন। সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদের অনুযায়ী আইনের দৃষ্টিতে সবাইকে সমান বলা হলেও জোবায়দা রহমানকে অতিরিক্ত সুবিধা দেয়া হয়েছিল।
জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করা হয়। মামলায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে একই বছরে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী পৃথক রিট আবেদন করেন। রিটে জরুরি আইন এবং এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন। এরপর রিট মামলাগুলো গত ২০ এপ্রিল কার্যতালিকায় আসে। পরে রুল শুনানির জন্য ২৯ মে দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।
আদালতে তারেক রহমান ও জোবায়দার পক্ষে তাদের আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেয়ায় দুদকের আইনজীবী প্রশ্ন তুলে বলেন, পলাতক থাকা অবস্থায় তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেন না। তখন আদালত বলেন, পলাতক থাকা অবস্থায় তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেন কিনা, ৫ জুন এ বিষয়েও শুনানি হবে।
এদিকে একই মামলার বৈধতা নিয়ে আরেকটি ফৌজদারি আবেদন করেছিলেন ডা. জোবায়দা। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করে দেন। একই সঙ্গে জোবায়দা রহমানকে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন জোবায়দা রহমান, যা গত ১৩ এপ্রিল খারিজ করেন আপিল বিভাগ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়