জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : ১০ বছরেও ক্লাসরুম আইন অনুষদ

আগের সংবাদ

প্রতিযোগিতার বাজারে ডলার : দাম নিয়ন্ত্রণ থেকে পিছু হটল কেন্দ্রীয় ব্যাংক > টাকার মান কমল ৯০ পয়সা

পরের সংবাদ

ড. মাসরুর রিয়াজ : মূল্যস্ফীতি সহনীয় রাখাই মূল চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আলী ইব্রাহিম : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে পণ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। এতে বেড়ে গেছে আমদানি ব্যয়ও। তাই আগামী অর্থবছরের বাজেটে কীভাবে মূল্যস্ফীতি সহনীয় রাখা যায়, সে বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। প্রয়োজনে সরকারের ভর্তুকি মূল্যে দেয়া খাদ্য কর্মসূচির বরাদ্দ বাড়িয়ে আরো বেশি মানুষকে খাদ্য নিরাপত্তার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ও বিশ্বব্যাংকের সাবেক সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ড. মাসরুর রিয়াজ। ভোরের কাগজের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন তিনি।
ড. মাসরুর রিয়াজ বলেন, এমনিতেই মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়ে গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক খাদ্য সংকট তৈরি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী বাজেটে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে জোর দিতে হবে। এই যুদ্ধের কারণে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এখনই খাদ্যপণ্যে আমদানির জন্য বিকল্প উৎস খুঁজতে হবে। একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতি সহনীয় রাখতে বাজেটে বরাদ্দ বাড়িয়ে খাদ্য কর্মসূচির পরিধি আরো বাড়াতে হবে।
রিজার্ভ সুরক্ষায় জোর দেয়ার পরামর্শ দিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি হয়েছে। বর্তমান এই পরিস্থিতিতে রিজার্ভ সুরক্ষিত রাখার বিকল্প নেই। ইতোমধ্যে বিলাসবহুল পণ্য থেকে বেশ কিছু পণ্যে আমদানি নিরুৎসাহিত করছে সরকার। এই উদ্যোগ আরো আগে নেয়া উচিত ছিল। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে

অতিপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য,

ক্যাপিটাল মেশিনারিজসহ কিছু পণ্য ছাড়া সব ধরনের পণ্যে আপাতত আমদানি নিরুৎসাহিত করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
ড. রিয়াজ বলেন, ২০২৬ সালে আমরা এলডিসি গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করব। তখন আমাদের অনেক সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন খাতে সংস্কার করতে হবে এবং এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী সময়োপযোগী করে তুলতে হবে। এমনি দক্ষিণ এশিয়ায় ডুয়িং বিজনেস সূচকে আমরা অনেক পিছিয়ে। ডুয়িং বিজনেস সূচকে উন্নতি করতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগ আর্কষণ করতে এই সূচকে উন্নতির বিকল্প নেই। এছাড়া ফরেন কারেন্সি আনতে এসব ইনডিকেটরগুলোতে আরো বেশি উন্নতি করতে হবে। আর বাজেটে আয়ের পথগুলোকে আরো সুগম করতে হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সংস্কার কার্যক্রমে গতি আনতে হবে। সেক্ষেত্রে আয়কর আদায়ে যেসব জটিলতা রয়েছে, তা দূর করতে হবে বলেও মনে করেন বিশ্বব্যাংকের সাবেক এই সিনিয়র অর্থনীতিবিদ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়