জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : ১০ বছরেও ক্লাসরুম আইন অনুষদ

আগের সংবাদ

প্রতিযোগিতার বাজারে ডলার : দাম নিয়ন্ত্রণ থেকে পিছু হটল কেন্দ্রীয় ব্যাংক > টাকার মান কমল ৯০ পয়সা

পরের সংবাদ

‘জাতির পিতার কাছে বাঙালি চিরকৃতজ্ঞ ও ঋণী’

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জাতির পিতার কাছে বাঙালি চিরকৃতজ্ঞ ও ঋণী এমন মন্তব্য করে সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর বলেছেন, ‘মা’ ও ‘মাটি’ এই দুটো জিনিসের কাছে আমরা ঋণী। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি মহান স্বাধীনতা। আর এই মহান যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর বঙ্গবন্ধুর সব সাফল্যের পেছনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদান অপরিসীম। গতকাল বুধবার বিকালে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ নিয়ে আয়োজিত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি সচিব এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ শিক্ষাবিদ ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে

আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য অধ্যাপক ড. মাহফুজা খানম। সঞ্চালনা করেন জাদুঘরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান। মাহফুজা খানম বলেন, অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি লেখার প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর বংশ পরিচয়, জন্ম, শৈশব, স্কুল ও

কলেজের শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, দুর্ভিক্ষ, বিহার ও কলকাতার দাঙ্গা, দেশভাগ, কলকাতাকেন্দ্রিক প্রাদেশিক মুসলিম ছাত্রলীগ ও মুসলিম লীগের রাজনীতির বর্ণনা উঠে এসেছে।
তিনি বলেন, দেশ বিভাগের পরবর্তী সময় থেকে ১৯৫৪ সাল অবধি পূর্ব বাংলার রাজনীতি, কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক মুসলিম লীগ সরকারের অপশাসন, ভাষা আন্দোলন, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা, যুক্তফ্রট গঠন ও নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন, আদমজীর দাঙ্গা, পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্যমূলক শাসন ও প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের বিস্তৃত বিবরণ এবং এসব বিষয়ে তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বর্ণনা রয়েছে। মাহফুজা খানম আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন, পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি ও সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কথা, যিনি তার রাজনৈতিক জীবনে সহায়ক শক্তি হিসেবে সকল দুঃসময়ে অবিচল পাশে ছিলেন। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর চীন, ভারত ও পশ্চিম পাকিস্তান ভ্রমণের বর্ণনাও বইটিকে বিশেষ মাত্রা দিয়েছে।
ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ১৯৬৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে থাকার সময় থেকে লেখা শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু শেষ করতে পারেননি। আকস্মিকভাবে ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধুর লেখা ৪টি খাতা তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আসে। খাতাগুলো ছিল অতি পুরনো, পাতাগুলো জীর্ণপ্রায় এবং লেখা প্রায়শ অস্পষ্ট। মূল্যবান সেই খাতাগুলো পাঠ করে জানা গেল এটি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী। তিনি বলেন, যে মানুষটির কারণে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি তাকে জানার জন্য এবং তার দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার জন্য সবারই বইটি পড়া দরকার। বইটি পড়লে বাংলার মানুষ ইতিহাসকে জানতে পারবে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে সমৃদ্ধ করতে পারবে নিজেকে। আলোচনা সভা শেষে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে শিল্পবাংলা। শিশু-কিশোররা দলীয় ও একক সংগীত এবং নৃত্য পরিবেশন করে। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রূপশ্রী চক্রবর্তী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়