কাগজ প্রতিবেদক : পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন রপ্তানিমুখী চারকোল শিল্প প্রতিষ্ঠায় ‘চারকোল নীতিমালা-২০২২’ প্রণয়ন করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। গত ২৬ মে এ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় বলছে, পাটখড়িসহ অন্য যে কোনো উপকরণ দ্বারা চারকোল উৎপাদন ও তদসংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে বিকশিত করার লক্ষ্যে জাতীয় স্বার্থে এ বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা জরুরি ছিল। পাটখড়ি থেকে চারকোল উৎপাদন পাটের বহুমুখী ব্যবহারের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পাটকাঠিকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পোড়ানো, শীতলীকরণ ও সংকোচন করে চারকোল প্রস্তুত করা হয়। এ চারকোল রপ্তানি দিন দিন বাড়ছে। চারকোলে ৭৫ শতাংশ কার্বন থাকে। পানি বিশুদ্ধকরণ, আতশবাজি, জীবন রক্ষাকারী বিষ নিরোধক ট্যাবলেট, প্রসাধন সামগ্রী, ফটোকপিয়ার ও কম্পিউটারের কালি তৈরির কাঁচামাল হিসাবে চারকোল ব্যবহৃত হয়।
বর্তমানে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাগুরাসহ দেশের বেশ কিছু জেলায় প্রায় ৪০টি কারখানায় চারকোল উৎপাদন হচ্ছে। এর মাধ্যমে বর্তমানে বার্ষিক প্রায় ৭০৭১ দশমিক ৪২ মেট্রিক টন (প্রায়) চারকোল রপ্তানি করে দেশে প্রায় ৪০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে। চারকোল উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে রপ্তানি আয় ও রাজস্ব বাড়ানো ছাড়াও প্রায় ২০ হাজার লোকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভাবনাময় এ চারকোল শিল্প স্থাপন ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে এতদিন কোনো নীতিমালা ছিল না। পাটখড়ি থেকে অত্যন্ত কম মাত্রার কার্বন নিঃসরণ হওয়ায় চারকোল শিল্প পরিবেশবান্ধব।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।