জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : ১০ বছরেও ক্লাসরুম আইন অনুষদ

আগের সংবাদ

প্রতিযোগিতার বাজারে ডলার : দাম নিয়ন্ত্রণ থেকে পিছু হটল কেন্দ্রীয় ব্যাংক > টাকার মান কমল ৯০ পয়সা

পরের সংবাদ

গান স্যালুটে শুরু কেকের শেষযাত্রা : মৃত্যুর জন্য আয়োজকদের অব্যবস্থাপনাই দায়ী!

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিনোদন ডেস্ক : হিন্দি, তামিল ও বাংলাসহ কয়েকটি ভাষায় গান গেয়ে কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছিলেন বলিউড গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। ভক্তরা যাকে কেকে নামেই সম্বোধন করতেন। গত মঙ্গলবার সবাইকে শোকসাগরে ভাসিয়ে ৫৩ বছর বয়সে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। কলকাতার গুরুদাস কলেজের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি। নজরুল মঞ্চে চলছিল অনুষ্ঠান। সেখানেই অসুস্থ বোধ

করেন গায়ক। হোটেলে ফেরার পর অবস্থার অবনতি হয়। সিএমআরআই হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাই প্রশ্ন উঠেছে- কেকের মৃত্যু কি অস্বাভাবিক?
গতকাল বুধবার সকালে এই গায়কের প্রয়াণের ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়েছে নিউ মার্কেট থানায়। এরপরই তদন্ত নেমেছে পুলিশ। কেকে কলকাতায় গিয়ে নিউমার্কেট সংলগ্ন এলাকার যে পাঁচতারকা হোটেলে ছিলেন, সেই হোটেলের ম্যানেজারসহ অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজও পরীক্ষা করা হচ্ছে। চিকিৎসকরা অবশ্য প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে শিল্পীর। যদিও প্রকৃত কারণ জানতে এখন ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষা করছেন তার অনুরাগীরা। এদিকে গতকাল সকালেই তার মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলায় কেকের মাথায় চোটের কথাও বলা হয়েছে। যদিও অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে, অসুস্থ অবস্থায় হোটেলে এসে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। চোট সেজন্যও লেগে থাকতে পারে।
কেকের ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যুর জন্য কনসার্ট আয়োজক সংস্থার অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন অনেকে। কলকাতায় কেকের শেষ কনসার্টের এক প্রত্যক্ষদর্শী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আয়োজনেই গলদ ছিল। চূড়ান্ত অব্যবস্থাপনা ছিল অনুষ্ঠানের আয়োজকদের পক্ষ থেকে। এমনকি, অনুষ্ঠানে ঢোকার আগে ইট, পাথর, কাঁচ ছোড়া হয়। আয়োজকদের সঙ্গে হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়ে কনসার্ট দেখতে আসা জনতা। প্রচণ্ড গরমের কারণেই ভীষণ ঘামছিলেন কেকে। বারবার জল খাচ্ছিলেন। অথচ অসুস্থ বোধ করলেও মঞ্চে কেকেকে দেখে মনেই হয়নি তিনি শারীরিক দিক থেকে অসুস্থ বোধ করছেন।
গতকাল দুপুরে কলকাতার রবীন্দ্র সদন থেকেই শুরু হয় কেকের শেষযাত্রা। সেই অন্তিম যাত্রার সুর বেঁধে দিয়েছিল তারই রেখে যাওয়া গান- ‘হাম, রেহে আ না রেহে কাল’। গায়ককে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া ছিলেন কলকাতার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ সাধারণ মানুষ। এখানে তাকে গান স্যালুটও দেয়া হয়। এরপর বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটে উড়োজাহাজে করে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় মুম্বাইয়ে। আজ মুম্বাইয়ের ভারসোভা মহাশ্মশানে কেকের শেষকৃত্য হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে তার প্রথম অ্যালবাম ‘পাল’ ব্যাপক সাড়া ফেলে। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি এই শিল্পীকে। বলিউড চলচ্চিত্রে গেয়েছেন অসংখ্য গান। ২০০৫ সালে তামিল ভাষায় বেস্ট প্লেব্যাক সিঙ্গার নির্বাচিত হন তিনি। এছাড়া শ্রেষ্ঠ পুরুষ নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে সাতটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়নসহ একাধিক পুরস্কারের মনোনয়ন এবং দুটি স্ক্রিন পুরস্কার অর্জন করেছেন কেকে। ১৯৬৮ সালের ২৩ আগস্ট দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন এই গুণী শিল্পী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়