জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : ১০ বছরেও ক্লাসরুম আইন অনুষদ

আগের সংবাদ

প্রতিযোগিতার বাজারে ডলার : দাম নিয়ন্ত্রণ থেকে পিছু হটল কেন্দ্রীয় ব্যাংক > টাকার মান কমল ৯০ পয়সা

পরের সংবাদ

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল : বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা প্রশস্ত করা হয়েছে

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাত প্রশস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, যে চ্যালেঞ্জিং সময় মোকাবিলা করে যাচ্ছি এ সময়ে আমাদের দেশের মানুষকে যতটা পারি সহায়তা করব। ন্যায়সঙ্গত হবে না এমন কিছু তাদের ওপর চাপিয়ে দেব না।
অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।
বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম বাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমি বলব আপনারা অপেক্ষা করেন। পাকিস্তান কী করল, সেটা আমরা করতে পারব না। তাদের চাহিদা ও আমাদের চাহিদা তো ভিন্ন। তাদের যেটা প্রয়োজন, সেটা আমাদের প্রয়োজন না-ও হতে পারে। সেটি নিরূপণ করে আমরা কাজটি করব।
তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছি আমরা অন্য কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক করব তখনই, যখন আমরা লাভবান হতে পারি। যুদ্ধ থেমে গেলে রাশিয়া বা ইউক্রেন থেকে সরাসরি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন- জ্বালানি, ভোজ্যতেল আনতে পারলে আমরা লাভবান হব।
‘বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী হবে’, ব্যবসায়ীদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমার সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি ভিন্ন মতামত দিতে চাই না।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আর্থিক খাত দুর্বল নেতৃত্বে চলছে বলে মন্তব্য করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি তার প্রতি সম্মান ও বিশ্বাস রেখে বলতে পারি, সারা বিশ্বে সংকটের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি যেভাবে আমরা এগিয়ে নিয়েছি, আমার মনে হয় এটাই সেরা প্রশাসন।
মন্ত্রী বলেন, অন্যদের সঙ্গে তুলনা করলেও বুঝতে পারবেন, আমরা ভালো আছি। কেউ যদি ভালো সময়ের সঙ্গে এই সময় মিলানোর চেষ্টা করে, তাহলে মিলানো যাবে না।
আসন্ন বাজেট নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেট নিয়ে আমরা কোনো চাপ বোধ করছি না। আমরা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে চাপ বোধ করছি। আমরা চাই যুদ্ধটি শেষ হোক। অর্থনীতিতে করোনা মহামারির প্রভাব নিয়ে তিনি বলেন, কোভিড শেষ করলাম, কোভিড যা ক্ষতি করার করেছে। কোভিডের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিতে আমরা যখন বিভিন্ন দিকে মগ্ন ছিলাম, সেই সময় আবার যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। বাজেটে সরকারি বা প্রকল্পের খরচ কমাতে কোনো নির্দেশনা থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজেটে যেগুলো যুক্ত করা দরকার, সেগুলো যুক্ত করব। সরকারি সিদ্ধান্ত আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
রেমিট্যান্স নিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা গণমাধ্যমে দেখেছি, রেমিট্যান্স বেশি আসছে। আমাদের রপ্তানি বেড়ে গেছে। কোনো না কোনো চ্যালেঞ্জিং সময় থাকবেই। এগুলো একদিকে যেমন কঠোর, আরেক দিক থেকে এগুলো আমাদের সুযোগ সৃষ্টি করে। আমাদের এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। কোভিড ও ইউক্রেনের যুদ্ধ অনেক স¤প্রসারিতভাবে সুযোগ সৃষ্টি করবে। সেগুলো আমাদের কাজে লাগাতে হবে। আমি মনে করি, যে কোনো অর্থনীতিবিদ এর বাইরে চিন্তা করতে পারেন না। এর বাইরে চিন্তা করার কিছু নেই।
১৬ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন : বিদ্যুৎ বিভাগের ১১টি ক্রয় প্রস্তাবসহ ১৬ ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় হবে ২ হাজার ৮৭৬ কোটি ৬১ লাখ ২ হাজার ৫৫০ টাকা। সভা শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদনের জন্য ১৭টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ১১টি, স্থানীয় সরকার বিভাগের ২টি, জননিরাপত্তা বিভাগের ১টি, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ১টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ১টি এবং বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের ১টি প্রস্তাব ছিল। তিনি বলেন, কমিটির অনুমোদিত ১৬টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ২,৮৭৬ কোটি ৬১ লাখ ২ হাজার ৫৫০ টাকা। মোট অর্থায়নের সম্পূর্ণ অর্থই জিওবি থেকে ব্যয় হবে।
অনুমোদিত প্রস্তাবনাগুলো বিস্তারিত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়