জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : ১০ বছরেও ক্লাসরুম আইন অনুষদ

আগের সংবাদ

প্রতিযোগিতার বাজারে ডলার : দাম নিয়ন্ত্রণ থেকে পিছু হটল কেন্দ্রীয় ব্যাংক > টাকার মান কমল ৯০ পয়সা

পরের সংবাদ

অবৈধ আর্থিক লেনদেন! : এবার সোনিয়া ও রাহুলকে ইডির নোটিস

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের শীর্ষ নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং তার ছেলে রাহুল গান্ধীকে অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে দায়ের হওয়ার মামলার তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস পাঠিয়েছে সেদেশের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাহুলকে ২ জুন এবং সোনিয়াকে ৮ জুন ইডি দপ্তরে হাজির হওয়ার কথা বলা হয় ওই নোটিশে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষে গতকাল বুধবার এ কথা জানানো হয়। সূত্র আনন্দবাজার।
ইডির পক্ষে জানানো হয়, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের ইডির দপ্তরে হাজির হওয়ার কথা বলা হয়েছে। আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি ইডির নোটিস প্রসঙ্গে বলেন, এটি বেআইনি অর্থ লেনদেনের মামলার এক অদ্ভুত নোটিস, যার সঙ্গে কোনো আর্থিক লেনদেন জড়িত নেই। এটি পুরোপুরি প্রতিহিংসার রাজনীতি। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এর মোকাবিলা করব।
জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র নিয়ে মনমোহন সিংহের জমানাতেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে পানি ঘোলা করার খেলা শুরু হয়, যার হোতা ছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তার অভিযোগ, ‘অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড’ নামে যে সংস্থার হাতে সংবাদপত্রটির মালিকানা ছিল, বাজারে ৯০ কোটি টাকা দেনা ছিল তাদের, যার বেশির ভাগটাই কংগ্রেসের কাছ থেকে নেয়া। ২০০৮ সালে সংবাদপত্রটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। সেই অবস্থাতেই সংস্থাটি অধিগ্রহণ করে সোনিয়া, রাহুল এবং শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থা, যার পর ন্যাশনাল হেরাল্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ইয়ং ইন্ডিয়ানের দখলে চলে যায়। ৯০ কোটি টাকা দেনার বোঝাও চাপে তাদের ঘাড়ে।
এর কিছুদিন পর ‘দেনার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব নয়’ বলে কারণ দেখিয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ঋণের টাকা মওকুফ করে দেয়া হয়। এখানেই আপত্তি তোলেন স্বামী। তার যুক্তি, কংগ্রেস রাজনৈতিক দল। তাদের কোনো কর দিতে হয় না। কোনো বাণিজ্যক সংস্থাকে ঋণ দেয়াও তাদের এখতিয়ারের বাইরে। সংবাদপত্রটির সম্পত্তি বিক্রি করে কেন কংগ্রেস নেতৃত্ব ঋণের টাকা মেটালেন না, সে প্রশ্ন তুলে আদালতে অভিযোগ করেন, ঘুরপথে আয়কর মুক্ত পুরো টাকা নিজেদের পকেটে ভরেছেন সোনিয়া, রাহুলসহ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়