কুসিক নির্বাচন : ইভিএমে ভোটের প্রক্রিয়া দেখলেন ২১ প্রার্থী

আগের সংবাদ

গোপনে তৎপর জামায়াত : কৌশলে চলছে সাংগঠনিক কার্যক্রম > ‘যুগপৎ’ আন্দোলনের ছক

পরের সংবাদ

হুইপ স্বপন : জিয়াউর রহমান হলেন জাতীয় ছিনতাইকারী

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, রাস্তায় যারা অস্ত্র ঠেকিয়ে জনগণের মালামাল ছিনতাই করে তাদের ছিনতাইকারী বলা হয়। এদের অনেককেই ছিঁচকে ছিনতাইকারী বলা হয়। যিনি রাষ্ট্রের গর্ব সেনাবাহিনীর কতিপয় সহকর্মীদের বিভ্রান্ত করে সশস্ত্র অবস্থায় রাতের অন্ধকারে বঙ্গভবনে গিয়ে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সায়েমের বিছানায় বেয়াদবের মতো পা তুলে দিয়ে ও অস্ত্র ঠেকিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা ছিনতাই করেছেন, নিঃসন্দেহে সেই জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয় ছিনতাইকারী হিসেবে জাতীয় ছিনতাইকারী বলা যায়।
গতকাল মঙ্গলবার ল²ীপুরের রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশীদ, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিঙ্কু, সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক হাজি ইসমাইল খোকন প্রমুখ। সম্মেলনে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
স্বপন বলেন, জিয়াউর রহমান যে ছিনতাই করেছেন তা তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সায়েম নিজেই তার লেখা বইয়ে অভিযোগ করেছেন। দেশের প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকারী একজন স্বনামধন্য ব্যক্তির লিখিত স্টেটমেন্ট কোনোভাবেই প্রশ্নবোধক হতে পারে না।
সশস্ত্র বাহিনী দেশের জাতীয় সম্পদ, আমাদের গর্ব ও অহংকারের প্রতিষ্ঠান। তাদের ওপর দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটির সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব অর্পিত। এজন্য জনগণের ট্যাক্সের টাকায় সশস্ত্র বাহিনীর হাতে অস্ত্র তুলে দেয়া হয়েছে এবং আইনসঙ্গতভাবে অস্ত্র ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে ও আর্মি রুলস রয়েছে। প্রত্যেক দেশপ্রেমিক সেনা সদস্য আর্মি রুলস ও পবিত্র সংবিধান মান্য করতে শপথবদ্ধ। সেনাপ্রধান হিসেবে জিয়াউর রহমান শপথ ভঙ্গ করে আর্মি রুলস ও সংবিধান অমান্য করে কতিপয় সহকর্মী সেনা সদস্যকে বিভ্রান্ত করে আইনি অস্ত্রের বেআইনি ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ছিনতাই করেছেন। তাই এসব ছিনতাইকারীদের বিচার হওয়া উচিত।
দ্বিতীয় অধিবেশনে আলোচনার মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ ও রফিকুল হায়দার বাবুল পাটোয়ারী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়