কুসিক নির্বাচন : ইভিএমে ভোটের প্রক্রিয়া দেখলেন ২১ প্রার্থী

আগের সংবাদ

গোপনে তৎপর জামায়াত : কৌশলে চলছে সাংগঠনিক কার্যক্রম > ‘যুগপৎ’ আন্দোলনের ছক

পরের সংবাদ

সুন্দরগঞ্জে মেলার নামে র‌্যাফেল ড্র বাণিজ্য : প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গাইবান্ধা ও সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি : মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, টিভি, ফ্রিজসহ বিভিন্ন পুরস্কারের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি হচ্ছে র‌্যাফেল ড্রর টিকেট। প্রতিটি টিকেট বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে। লোভে পড়ে গ্রামের সহজ-সরল ও নিরীহ মানুষ কিনছেন এসব লটারি। মেলার আয়োজক ও র‌্যাফেল ড্রসংশ্লিষ্টরা এভাবে প্রতিদিন মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
গত সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সুন্দরগঞ্জ উপজেলার আব্দুল মজিদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়। এর আগে গত ১৯ মে দুপুরে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা হস্ত কুটিরশিল্প মেলার’ উদ্বোধন করেন সাংসদ শামীম হায়দার পাটোয়ারি ও আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আফরোজা বারি। আয়োজকদের এসব লোভনীয় প্রস্তাবে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। সব শ্রেণির শিশু থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ লোভে পড়ে কিনছেন এসব লটারি। এ কারণে এলাকায় চুরি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে সচেতন মহল। প্রশাসন বীর মুক্তিযোদ্ধা হস্ত কুটিরশিল্প মেলার অনুমোদন দিলেও লটারি বা র‌্যাফেল ড্রয়ের অনুমোদন দেয়নি। অবৈধ কোনো কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার বালক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বসেছে বীর মুক্তিযোদ্ধা হস্ত কুটিরশিল্প মেলা। মেলার পেছনের দিকে র‌্যাফেল ড্রয়ের মঞ্চে সাজিয়ে রাখা হয়েছে টিভি, ফ্রিজ, মোটরসাইকেলসহ নানা রকম পুরস্কার। মাইকে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এখান থেকে লটারি কিনছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিশুসহ অনেকেই। এছাড়া শতাধিক গাড়িতে ৩০০-৪০০টি করে টিকেট নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিক্রি করছে লটারি। প্রতিদিন গড়ে ১৫-২০ লাখ টাকার লটারি টিকেট বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মেলার নামে লটারি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল। এসব লটারি বাণিজ্য বন্ধ না হলে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান বলেন, আমরা শুধু হস্ত কুটিরশিল্প মেলার অনুমতি দিয়েছি। সেখানে লটারি চালানোর কোনো সুযোগ নেই। আমরা এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়