কুসিক নির্বাচন : ইভিএমে ভোটের প্রক্রিয়া দেখলেন ২১ প্রার্থী

আগের সংবাদ

গোপনে তৎপর জামায়াত : কৌশলে চলছে সাংগঠনিক কার্যক্রম > ‘যুগপৎ’ আন্দোলনের ছক

পরের সংবাদ

শিল্পকলায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফজেএ) আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালার তিন নম্বর গ্যালারিতে শুরু হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু ও রূপসী বাংলা’ শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী জাতীয় আলোকচিত্র প্রদর্শনী। গতকাল মঙ্গলবার এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শিল্পকলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান, বিএফজেএর সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা।
বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও আবহমান বাংলার রূপবৈচিত্র্য তুলে ধরা হয়েছে প্রদর্শনীর আলোকচিত্রে। গ্যালারির এক প্রান্তে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার অন্য রাজনীতিবিদরা, মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন সময়ের কালজয়ী আলোকচিত্র। আর অন্য প্রান্তে রয়েছে রূপসী বাংলার নয়নাভিরাম নানা প্রাকৃতিক ও নৈসর্গিক আলোকচিত্র। কৃষকের ধান কাটার দৃশ্য থেকে শুরু করে ঘোড়ার গাড়ি, জেলেদের মাছ ধরা, নবান্ন উৎসবে নারীর আনন্দ উল্লাস সব কিছুই উঠে এসেছে এই প্রদর্শনীতে, বাদ পড়েনি স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দৃশ্যও।
উদ্বোধনকালে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, হাজারো শব্দের চেয়েও একটি ছবি অনেক বেশি শক্তিশালী। রূপসী বাংলার প্রতিচ্ছবি হচ্ছে বঙ্গবন্ধু। ছবি মানুষকে ভাবায়, কাঁদায়। ফটোসাংবাদিকরা যারা ছবি তোলেন, তারা অনেক ঝুঁকি নিয়েই কাজটি করেন। সত্যকে তুলে ধরেন। যুগে যুগে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে শুরু করে অনেক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও সাংবাদিকরা ছবি তোলেন। ছবি ও সংবাদ একসঙ্গে থাকলে পাঠক বেড়ে যায়। ছবির মধ্যদিয়ে সাংবাদিকরা ইতিহাসকে তুলে ধরেন। দেশে এখন অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এসব পরিবর্তনও আলোকচিত্রে তুলে ধরা উচিত।
অনুষ্ঠানে আলোকচিত্র সাংবাদিক রশীদ তালুকদার, মোহাম্মদ আলম ও মানু মুন্সিকে মরণোত্তর সম্মাননা দেয়া হয়। এছাড়া সম্মাননা দেয়া হয় ওয়াসে আনসারী, এ বি এম রফিকুর রহমান ও জালাল উদ্দিন হায়দার, মোহাম্মদ কবির হোসেন, সামসুল হায়দার বাদশা, সাজ্জাদ মাহমুদ নয়ন ও জাকির হোসেন চৌধুরীকে।

প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা এবং শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত এই প্রদর্শনী চলবে ৬ জুন পর্যন্ত।
জাতীয় কবি স্মরণে আলোচনা ও সংগীতানুষ্ঠান : আলোচনা ও সংগীতানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন করেছে জাতীয় জাদুঘর। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে ‘কাজী নজরুল ইসলামের গজল : বাংলা গানের মাইলফলক’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নজরুলসংগীত শিল্পী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. প্রিয়াংকা গোপ। আলোচক ছিলেন নজরুলসংগীত অধ্যাপক ড. নাশিদ কামাল। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
আলোচনার পরে সংগীতানুষ্ঠানে নজরুলের ‘দূর আযানের মধুরও ধ্বনি বাজে বাজে মসজিদেরই মিনারে’, ‘বাগিচায় বুলবুলি তুই ফুল শাখাতে দিসনে আজি দোল’ এবং ‘গুলবাগিচার বুলবুলি আমি রঙিন প্রেমের গাই’ পরিবেশন করেন অধ্যাপক ড. প্রিয়াংকা গোপ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়