কুসিক নির্বাচন : ইভিএমে ভোটের প্রক্রিয়া দেখলেন ২১ প্রার্থী

আগের সংবাদ

গোপনে তৎপর জামায়াত : কৌশলে চলছে সাংগঠনিক কার্যক্রম > ‘যুগপৎ’ আন্দোলনের ছক

পরের সংবাদ

রুশ তেলের আমদানি বন্ধে ঐকমত্য ইইউর

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিষিদ্ধের একটি পরিকল্পনার ব্যাপারে একমত হলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। ওই পরিকল্পনায় মস্কোর কাছ থেকে তেল আমদানি দুই-তৃতীয়াংশ বন্ধের কথা বলা হয়। এর আওতায় মূলত সমুদ্রপথে রাশিয়া থেকে ইউরোপে তেল আমদানি বন্ধ হবে। গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায় যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়া থেকে যে তেল আমদানি করে তার দুই-তৃতীয়াংশ আসে সমুদ্রপথে। কিন্তু পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল আনা আপাতত বন্ধ হচ্ছে না। রাশিয়ার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে এক ধরনের সমঝোতার মাধ্যমে হয়েছে। কারণ হাঙ্গেরি এর বিরোধিতা করেছে। মস্কো থেকে পাইপলাইনে তেল আমদানি বন্ধে তারা রাজি নয়। ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রধান চার্লস মিচেল বলেন, এই সমঝোতার ফলে রাশিয়া যুদ্ধে যে অর্থ ব্যয় করছে সেটির বড় একটি উৎস বন্ধ হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার ওপর এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো নিষেধাজ্ঞা দিল। ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত গত সোমবারের এ বৈঠকে জোটের ২৭টি দেশ অংশ নেয়।
চার্লস মিচেল জানান, রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাংক এবং তিনটি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ব্যাপারে ইউরোপীয় নেতারা একমত হয়েছেন। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধের বিষয়টি নিয়ে ইউরোপীয় নেতারা কয়েক ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন। কারণ, হাঙ্গেরি এর বিরোধিতা করছিল। দেশটি তার চাহিদার ৬৫ শতাংশ তেল পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে আমদানি করে। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করতে ইউরোপীয় কমিশন প্রথমে প্রস্তাব করেছিল। এজন্য এক মাস আগে কমিশন তাদের সদস্য দেশগুলোর জন্য একটি আইনও তৈরি করে। এছাড়া স্লোভাকিয়া এবং চেক রিপাবলিকের মতো যেসব দেশের সমুদ্রবন্দর নেই তারাও রুশ তেলের ওপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে আনতে সময় চেয়েছিল।

ইউরোপে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি পুরোপুরি বন্ধের বিষয়টিতে অনেক দেশ একমত হতে পারছে না। অন্যান্য জিনিসের মতো জ¦ালানির দামও বেশ ঊর্ধ্বমুখী। অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় ইচ্ছে থাকলেও রুশ তেলের ওপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়টিতে থেকে সরে এসেছে ইউরোপীয় দেশগুলো। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেইন বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞা আরো বিস্তৃত হওয়ার সুযোগ ছিল। কারণ জার্মানি ও পোল্যান্ড এ বছরের মধ্যে মস্কোর কাছ থেকে ধীরে ধীরে পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল আমদানি বন্ধ করে দিতে স্বেচ্ছায় সম্মত হয়েছে। হাঙ্গেরি, চেক রিপাবলিক এবং স্লোভাকিয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এর ফলে বাকি থাকবে ১০ থেকে ১১ শতাংশ। ব্রাসেলসের বৈঠকে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান বেশ কঠোর অবস্থার নেন। তিনি বলেন, জ¦ালানি সরবরাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটির বিষয়ে আগে আমাদের সমাধান দরকার, তারপর নিষেধাজ্ঞা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন। তিনি বলেন, ইউরোপের দেশগুলোকে নিজেদের মধ্যে বিবাদ বন্ধ করতে হবে। রাশিয়ার কাছ থেকে তেল নিয়ে তারা শুধু দেশটিকে সহায়তা করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়