কুসিক নির্বাচন : ইভিএমে ভোটের প্রক্রিয়া দেখলেন ২১ প্রার্থী

আগের সংবাদ

গোপনে তৎপর জামায়াত : কৌশলে চলছে সাংগঠনিক কার্যক্রম > ‘যুগপৎ’ আন্দোলনের ছক

পরের সংবাদ

মানবতাবিরোধী অপরাধ : জামায়াত নেতা মন্টুসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধকালীন সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জয়পুরহাট জেলা জামায়াতের সাবেক আমির রেজাউল করিম মন্টুসহ তিনজনকে ফাঁসির দড়িয়ে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রেজাউল করিম মন্টু ছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য দুই আসামি হলেন- মো. শহিদ মণ্ডল ও মো. নজরুল ইসলাম (পলাতক)। মামলায় প্রথমে চারজনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে মো. ইসহাক তদন্ত চলার সময়ই গ্রেপ্তার হওয়ার পর মারা যান।
আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগের তিনটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন। এর মধ্য দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের ৪৬তম মামলার নিষ্পত্তি হলো।
আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম ও এডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর হায়দার আলী, প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন ও প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। রায়ের পর প্রসিকিউটর হায়দার আলী সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে রাজাকাররা যে অপরাধ করেছে, গণহত্যা চালিয়েছে তা প্রমাণিত হলো। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, আসামিদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে উচ্চ আদালতে আপিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
গত ২৯ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রেজাউল করিম মন্টুসহ তিনজনের রায় ঘোষণার জন্য ৩১ মে দিন ধার্য করা হয়। এর আগে ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু করেন আদালত। মামলায় মোট ৩১ সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। এরপর উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়।
যে তিন অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড : এক নম্বর অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ৭ অক্টোবর বিকাল আনুমানিক ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সময়ে আসামিরা নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের রানাহার গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের নিরীহ-নিরস্ত্র সাহেব আলী, আকাম উদ্দিন, আজিম উদ্দিন মণ্ডল, মোজাফফর হোসেনকে হত্যাসহ ওই সময় ১০-১২টি বাড়ি লুট করে অগ্নিসংযোগ করে।
দুই নম্বর অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ৮ অক্টোবর দুপুর আনুমানিক দেড়টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সময়ে আসামিরা নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের খোজাগাড়ী গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের নিরীহ-নিরস্ত্র মো. নুরুল ইসলামকে হত্যা করে। এ সময় তারা ১৫-২০টি বাড়ি লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগ করে।
তিন নম্বর অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৮ অক্টোবর বিকাল আনুমানিক ৫টা থেকে পরদিন অর্থাৎ ৯ অক্টোবর আনুমানিক বিকাল ৫টা পর্যন্ত সময়ে নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের মো. কেনার উদ্দিন এবং মো. আক্কাস আলীকে আটক করে নির্যাতন করে। পরে অপহরণ করে জয়পুরহাটের কুঠিবাড়ী ব্রিজে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। এ সময়ের মধ্যে আসামিরা ৪০-৫০টি বাড়ি লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগ করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়