কুসিক নির্বাচন : ইভিএমে ভোটের প্রক্রিয়া দেখলেন ২১ প্রার্থী

আগের সংবাদ

গোপনে তৎপর জামায়াত : কৌশলে চলছে সাংগঠনিক কার্যক্রম > ‘যুগপৎ’ আন্দোলনের ছক

পরের সংবাদ

ভিকটিম উদ্ধার : স্ত্রী কার সঙ্গে পালিয়েছে জানতে অন্যের শিশুকে অপহরণ

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পরিবার নিয়ে আশুলিয়ার জিরানীবাজার কলেজ রোড এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকত রাজমিস্ত্রি রাশেদুল ইসলাম। তার স্ত্রী নুরজাহান আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করত। একপর্যায়ে তার স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে তাদের ৭ বছরের শিশু সন্তানকে রেখে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। ৭ বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে বিপাকে পড়ে স্ত্রীর সন্ধান পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে। স্ত্রী কার সঙ্গে পালিয়ে গেছে তা জানতে স্ত্রীর সহকর্মী মীরা আক্তারের সন্তানকে অপহরণ করে বসে।
অপহরণের শিকার দেড় বছরের শিশুটিকে অপহরণের ৩ মাস পর উদ্ধার করে এ তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অপহরণকারী রাশেদ ও তার ফুফু রোকসানাকে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, গত সোমবার রাতে র‌্যাব-৪ এর একটি দল র‌্যাব-১৩ এর সহযোগিতায় রংপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান চালায়। সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় রাশেদুলকে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার রতনপুর এলাকার একটি বাসা থেকে রোকসানা নামের এক নারীর হেফাজত থেকে দেড় বছরের শিশু আঁখিকে উদ্ধার করা হয়।
মোজাম্মেল হক আরো বলেন, অপহরণকারী রাশেদুল দুই বছর ধরে পরিবার নিয়ে আশুলিয়ার জিরানীবাজার কলেজ রোড এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকত। সে পেশায় রাজমিস্ত্রি এবং বিবাহিত। অপহরণকারীর স্ত্রী নুরজাহান ও অপহৃত শিশুটির মা মীরা আক্তার আশুলিয়ায় একই পোশাক কারখানায় চাকরি করত। তাদের দুজনের সুসম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে তাদের ৭ বছরের শিশু সন্তানকে রেখে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। তিনি জানান, ৭ বছরের শিশুটিকে নিয়ে আসামি রাশেদ বিপদে পড়ে। রাশেদের স্ত্রী কার সঙ্গে গেছে এবং কোথায় আছে তা মীরা আক্তার জানেন বলে সন্দেহ করে রাশেদ। পরে মীরাকে অনেকবার জিজ্ঞাসা করলেও বলেননি।
মোজাম্মেল হক বলেন, পরে তার স্ত্রীর অবস্থান জানতেই গত ৩১ মার্চ সকাল ১০টার দিকে আশুলিয়া থানার শিমুলিয়ার টেঙ্গুরী এলাকা থেকে মীরার মেয়ে আঁখিকে অপহরণ করে রাশেদুল। একপর্যায়ে রাশেদুল শিশু আঁখির বাবা-মায়ের কাছে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। যার মধ্যে ২০ হাজার টাকা দেয়া হয় বলেও জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা। পরে আঁখিকে রাশেদুল গাজীপুরের কালিয়াকৈরে তার এক ফুপু রোকসানার কাছে রেখে রংপুরে আত্মগোপন করে। ঘটনার পরদিন ১ এপ্রিল শিশু আঁখির বাবা বাদী হয়ে একটি অপহরণ মামলা করেছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়