কুসিক নির্বাচন : ইভিএমে ভোটের প্রক্রিয়া দেখলেন ২১ প্রার্থী

আগের সংবাদ

গোপনে তৎপর জামায়াত : কৌশলে চলছে সাংগঠনিক কার্যক্রম > ‘যুগপৎ’ আন্দোলনের ছক

পরের সংবাদ

দশমিনায় বাল্যবিয়ের প্রবণতা বাড়ছে

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : অভিভাবকদের অসচেতনতা, কন্যাসন্তানকে পরিবারের বোঝা মনে করা, পুত্র সন্তানের তুলনায় কম যোগ্যতাসম্পন্ন মনে করাসহ বিভিন্ন কারণে দশমিনায় উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে বাল্যবিয়ের প্রবণতা। চলতি মাসের মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছে প্রশাসন। দেয়া হয়েছে বিভিন্ন অঙ্কের অর্থদণ্ড। বাল্যবিয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে সাবেক ইউপি সদস্য, মসজিদের ইমামসহ ১৮ জনকে এই দণ্ডের আওতায় আনা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ৭ মে গভীর রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন আল হেলাল উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের ঠাকুরের হাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে নবম শ্রেণিতে পড়–য়া ছাত্রী এবং একই এলাকার জনৈক ফারুক হোসেনের ১৭ বছরের ছেলে মো. হামিম হোসেনের বিয়ে বন্ধ করে দিয়ে মেয়ের মামা, চাচা, ভগ্নিপতিসহ চারজনকে ৩৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। ১৪ মে গভীর রাতে উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে জোর করে বিয়ে দেয়ার প্রস্তুতিকালে অভিযান চালিয়ে সাবেক ইউপি সদস্যসহ চারজনকে ২৮ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। গত ১৯ মে উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নে নবম শ্রেণিতে পড়–য়া ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। এ সময় বর-কনের অভিভাবকের কাছ থেকে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা নেয়া হয়। ২১ মে দশমিনা উপজেলা সদরে পুজাখোলা জামে মসজিদে বাল্যবিয়ের আয়োজন বন্ধ করে চারজনকে ২৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। সর্বশেষ গত ২৪ মে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আদমপুর গ্রামে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ হয়। এ সময় বর-কনের অভিভাবককে অর্থদণ্ড প্রদান ও মুচলেকা আদায় করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, আমি যখন যেখানে বাল্যবিয়ের খবর পাচ্ছি সেখানে ছুটে যাচ্ছি। বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে ছেলে-মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, কম বয়সে বিয়ের পরিণতি সম্পর্কে তাদের বুঝিয়ে বলেছি। মেয়ের বয়স কম ছিল বলে পাঁচটি বিয়ে বন্ধ করেছি। পাশাপাশি অপ্রাপ্ত বয়সি মেয়েদের যেন বয়স বাড়িয়ে জন্মসনদ না দেয়া হয় সে ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সচিবদের সতর্ক করা হয়েছে। বাল্যবিয়ের ব্যাপারে খুব শিগগির কাজি ও ইমামদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়