কুসিক নির্বাচন : ইভিএমে ভোটের প্রক্রিয়া দেখলেন ২১ প্রার্থী

আগের সংবাদ

গোপনে তৎপর জামায়াত : কৌশলে চলছে সাংগঠনিক কার্যক্রম > ‘যুগপৎ’ আন্দোলনের ছক

পরের সংবাদ

টোল আদায়ের নামে চাঁদবাজি

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নাহিদ আল মালেক, শেরপুর (বগুড়া) থেকে : শেরপুর উপজেলার ১৬টি হাটবাজারের টোল আদায়ের নামে রাস্তায় রাস্তায় পাহারা বসিয়ে ইচ্ছামতো জোরপূর্বক চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। আলুর পর এবার ধানবোঝাই প্রত্যেক গাড়ি থেকে ১-৩ হাজার টাকা পর্যন্ত খাজনার নামে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। হাটের ইজারাদার সরকারদলীয় নেতাদের নাম ভাঙিয়ে স্থানীয় কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল যুবক চাঁদা আদায়ে উপজেলাজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। চাঁদাবাজদের এমন দৌরাত্ম্যের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও ধান-চাল ব্যবসায়ীরা। চাঁদাবাজি ও হুমকিসহ নানা অপরাধমূলক তৎপরতায় তাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
তাছাড়া বৈরী আবহাওয়ার কারণে এমনিতেই কৃষক বোরো ধান চাষ করে লোকসানের মুখে পড়েছেন। সেইসঙ্গে রয়েছে বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। এমতাবস্থায় সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজদের খড়গ কৃষকদের জন্য ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করে ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের জামাইল হাট, কুসুম্বী ইউনিয়নের আলতাদীঘি বোর্ডের হাট, বেলঘরিয়া হাট ও শহরের বারোদুয়ারী হাটকে ঘিরে স্থানীয় সড়কের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পাহারা বসানো হয়েছে। এমনকি এসব হাটের রসিদ বই ব্যবহার করে প্রতিদিন কৃষিপণ্য পরিবহনের ট্রাক, ভটভটি, নছিমন-করিমন ও পাওয়ার ট্রলি আটকে চাঁদা আদায় করছে সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্রটির সদস্যরা। এছাড়া উপজেলার ১৬টি ইজারাকৃত হাটবাজারের কোথাও অনুমোদিত টোল চার্ট টাঙানো হয়নি।
বারোদুয়ারী হাটের জাহাঙ্গীর আলম শাহীন বলেন, বিগত দিনগুলোতে যেভাবে খাজনা আদায় করা হচ্ছে। তারাও ঠিক সেভাবেই খাজনা আদায় করছেন। এরপরও যে টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে হাট ইজারা নিয়েছেন তা উত্তোলন করাই কঠিন হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, শর্ত সাপেক্ষে হাট ইজারা দেয়া হয়। সেই শর্ত ভেঙে খাজনা আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। যদি কোনো ইজারাদার হাট এলাকার বাইরে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে খাজনা আদায় করেন, তাহলে অবশ্যই তিনি অন্যায় করছেন। এমন কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দেয়ার জন্য ভুক্তভোগীদের পরামর্শ দেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়