কুসিক নির্বাচন : ইভিএমে ভোটের প্রক্রিয়া দেখলেন ২১ প্রার্থী

আগের সংবাদ

গোপনে তৎপর জামায়াত : কৌশলে চলছে সাংগঠনিক কার্যক্রম > ‘যুগপৎ’ আন্দোলনের ছক

পরের সংবাদ

কুসিক নির্বাচন : ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ চান দুই মেয়র প্রার্থী

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, কুমিল্লা : কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠলেও দুজন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ভোটের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তারা সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ দাবি করেছেন।
মঙ্গলবার গণসংযোগকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু অভিযোগ করেন, আমার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে, মাইক ভেঙে ফেলা হচ্ছে। অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সারের অভিযোগ, যেখানে তার পোস্টার ও ব্যানার ছিল সেগুলো ছিঁড়ে ফেলে দেয়া হচ্ছে। তাকে হুমকি দেয়ারও অভিযোগ করেছেন। তিনি এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
জানা গেছে, প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকে গতকাল পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারের ৫ম দিনে মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থী এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১৪২ জন প্রার্থী নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা চালান। ভোর থেকে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা নেমে পড়েন ভোটের মাঠে। গণসংযোগ, স্লোগান, প্রতিশ্রæতি আর ভোটারদের প্রত্যাশা সব মিলিয়ে গতকাল দিনভর সরব ছিল ভোটের মাঠ। গতকাল সকালে কান্দিরপাড় থেকে প্রচারণায় নামেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। তিনি নগরীর বাদুরতলা, ঝাউতলা, খ্রিস্টানপাড়া, পুলিশ লাইন, রেসকোর্স, স্টেশন রোড, অশোকতলা, বাগিচাগাঁও, ভূতের গলিসহ বিভিন্ন এলাকায় পথসভা ও গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচনের মাঠে সমান সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার মেলেনি। আমার সব পোস্টার ছিঁড়ে ফেলুক, মাইক সব ভেঙে ফেলুক, আমি কিছু বলব না। এটা দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।
নগরীর রামঘাটলা এলাকা থেকে প্রচারণায় নামেন স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার। তিনি নগরীর কান্দিরপাড়, রামঘাটলা, রাজগঞ্জ, বাদুড়তলা, বাদশা মিয়ার বাজার, শাসনগাছাসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। যেখানে তার

পোস্টার ও ব্যানার ছিল সেগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে। হুমকি দেয়া হচ্ছে।
তবে কুসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, সব প্রার্থী সমান সুযোগ পাচ্ছেন। কিছু লিখিত, কিছু মৌখিক অভিযোগ আমরা পাচ্ছি। অভিযোগ অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রার্থীদের কাছে আমার আহ্বান, তারা যেন নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রচার-প্রচারণা চালান। সব মিলিয়ে প্রার্থী, ভোটার ও কর্মী সমর্থকদের প্রচার-প্রচারণা ও পদচারণায় নগরজুড়ে ভোট উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারির কারণে ভোটের মাঠে এখনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর মিলেনি।
কুসিকের ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২ লাখ ২৭ হাজার ৭৯২ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১১ হাজার ৬০০ ও নারী ১ লাখ ১৬ হাজার ১৯১ জন। ১০৫ ভোট কেন্দ্রের সবকটিতে ইভিএমে ভোট নেয়া হবে আগামী ১৫ জুন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়