কুসিক নির্বাচন : ইভিএমে ভোটের প্রক্রিয়া দেখলেন ২১ প্রার্থী

আগের সংবাদ

গোপনে তৎপর জামায়াত : কৌশলে চলছে সাংগঠনিক কার্যক্রম > ‘যুগপৎ’ আন্দোলনের ছক

পরের সংবাদ

ইসি মো. আলমগীর : পেশিশক্তির জোরে জয়ী হওয়া যাবে না নির্বাচনে

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পেশিশক্তি ব্যবহার করে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মো. আলমগীর বলেন, পেশিশক্তি ব্যবহার করে কেউ যদি নির্বাচিত হওয়ার স্বপ্ন দেখে, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে যদি প্রশাসনের কারো অবহেলা পাওয়া যায়, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে যদি অন্য প্রার্থীকে বাধা দেয়ার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।
ভোটের প্রচারে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় ইসি ভবনের সামনে হাতে বিষ আর কাফনের কাপড় জড়িয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ২৭ প্রার্থীর অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা আপনাদের (সাংবাদিকদের) কাছে প্রথম শুনলাম। কর্মকর্তাও বললেন। আমরা তাদের বলেছি, উনাদের যদি কেউ থাকে তাহলে তাকে আমার কাছে নিয়ে আসেন।
তিনি বলেন, বাধা দিয়ে কোনো লাভ হবে না। যে কোনো উৎস থেকে যদি তথ্য পাই, যে প্রার্থীদের বাধা দেয়া হয়েছে, ভোটারকে বাধা দেয়া হয়েছে অথবা মনোনয়নপত্র দাখিল করতে দেয়া হয়নি, তাহলে প্রথম আমরা যেটা করি নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করে দেই। এতে অন্য প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন। যদি এমন হয়, ওইখানে প্রার্থী নিরাপদ নয়, তাহলে পার্শ্ববর্তী জেলা বা উপজেলায় তাদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সুযোগ দেই।
তিনি আরো বলেন, প্রার্থী, ভোটারদের নিরাপত্তা এবং তাদের প্রচারের সুযোগ করে দেয়া, এগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব। দায়িত্ব পালনে কারো অবহেলা পেলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।
ইসির সামনে অবস্থান নেয়া প্রার্থীদের দাবি- থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সার্কেল এসপিকে প্রত্যাহার করা। এ বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, প্রত্যাহার তো সমাধান না। এখানে কার দায়িত্বহীনতা আছে সেটা আমরা দেখব। একটা জিনিস বুঝতে হবে, প্রশাসনে যারা থাকে তাদের সংখ্যা খুবই অল্প। এটা যদি প্রশাসনের নাকের ডগায় হয় তাহলে এক জিনিস, আর যদি হয় দূরে, সেটা আরেক জিনিস। কারণ প্রশাসন সবার বাড়ি বাড়ি থাকতে পারবে না। যদি দেখা যায়, ঘটনা অনেক দূরে হয়েছে, প্রশাসনে বাইরে বা সম্মুখে না অথবা এমন একটা সময় ঘটনা হয়েছে, যেখানে প্রশাসন দূরে ছিল। তখন তো আর প্রশাসনের করার কিছুই থাকছে না। সামনে কিছু ঘটলেও প্রশাসন সেখানে যদি নিশ্চুপ থাকে তাহলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ভোটে কেউ বাধা দিলে দেশের প্রচলিত আইনে মামলা হবে। আপনারা দেখবেন প্রশাসন তার বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে কিনা। কেউ যদি পেশিশক্তি প্রয়োগ করে তাহলে ইসি তার ক্ষমতাবলে মামলা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া ও ভোট বাতিল করে দেয়া বা প্রার্থীর (অভিযুক্ত) প্রার্থিতা বাতিল করতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়