রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি : জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আপন ভাগ্নের দায়ের কোপে মামাসহ একই পরিবারের আরো ৪ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। হামলায় বাধা দেয়ায় মামিকে শ্লীলতাহানি করেছে বখাটে ভাগ্নেসহ তার সহযোগীরা। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার রাত ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মধূখালী গ্রামে।
ভুক্তভোগীর পরিবার বাদী শাহজাহান মিয়া ও রূপগঞ্জ থানায় প্রদেয় অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, মধূখালী গ্রামের মৃত আয়েব আলীর ছেলে শফিউল্লাহ ও শাহজাহান মিয়াদের সঙ্গে তাদেরই আপন ভাগ্নে একই গ্রামের বাসিন্দা মমিন মিয়ার ছেলে হাবিব মিয়াসহ অন্যান্য ভাগ্নেদের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জেরে শুক্রবার রাতে কিছু বুঝে ওঠার আগেই মামা শফিউল্লার বাড়িতে ভাগ্নে হাবিব ও তার বাবা মমিন উদ্দিনসহ সহযোগী সন্ত্রাসী মধূখালী এলাকার হোসেন মিয়ার ছেলে রিফাত, হুমাউন কবিরের ছেলে সিয়াম, দানিছের ছেলে নাদিম, আকবর আলীর ছেলে হোসেন আলী, মজিবুরের ছেলে বেলায়াত, বেদনের ছেলে ফাহিম, জুলহাসের ছেলে ইমন, মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে জাবির হোসেন বাবু, মজিবুরের ছেলে ইমন, রফিজুদ্দিন ওরফে তোতলার ছেলে ইয়াকুব, সাইদের ছেলে রোমান, মৃত নাজমুলের ছেলে তাজরিয়ানসহ অজ্ঞাত আরো ৩-৪ জন দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালায়।
এ সময় মামা শফিউল্লাহ ভাগ্নেকে বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা এলোপাতাড়ি লাঠিপেটা করতে থাকে। একপর্যায়ে শফিউল্লার স্ত্রী রিনা বেগম বাধা দিতে এলে তাকে প্রথমে শ্লীলতাহানি ঘটায়। পরে এতে আহত শফিউল্লাহ বাধা দিতে গেলে ভাগ্নে হাবিব তার হাতে থাকা রাম দা দিয়ে শফিউল্লাহর পিঠে ও মাথায় কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। এতে তার মামা গুরুতর আহত হন। এ সময় তাদের চিৎকারে পরিবারের অন্য লোকজন ও গ্রামবাসী এগিয়ে এলে হামলাকারীরা রিনা বেগমের গলায় থাকা স্বর্ণালংকার লুটে নেয় এবং ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। পরে আহত শফিউল্লাহকে উদ্ধার করে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় নারীসহ পরিবারের আরো ২ সদস্য আহত হন। এদিকে অভিযুক্তদের মধ্যে মমিন মিয়া মুঠোফোনে জানান, তার মরহুম শ্বশুর আয়েব আলীর জমি নিয়ে তার মেয়ে ও ছেলেদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। তাই তাদের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এটা নতুন কিছু না।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা তদন্ত চলছে। হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় নেয়া হবে।