নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস আজ

আগের সংবাদ

কালো টাকার অবাধ সুযোগ! : বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে বিরল উদ্যোগ, কর দেয়ায় নিরুৎসাহিত হবে সৎ করদাতারা

পরের সংবাদ

বেলকুচিতে পরিত্যক্ত ভবনে শিশুদের পাঠদান

প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : বেলকুচি উপজেলার তামাই খন্দকার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি শতবর্ষ পার করলেও অবকাঠামো উন্নয়ন হয়নি এখনো। জরাজীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে পাঠদান। ভবনের তিনটি রুম রয়েছে। এর মধ্যে একটি অফিস কক্ষ। একটিতে শিফট ভাগ করে চলে পাঠদান। অপর একটি রুম ক্লাস করানোর অনুপযোগী বলে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। পাশে সরকারি অনুদান ও বিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে ছোট টিনের ঘর তৈরি করে চলছে অস্থায়ী পাঠদান।
সরকার প্রাথমিক শিক্ষার মান ও অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একাধিক বহুতল ভবনসহ, ডিজিটাল মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, পাঠাগার তৈরি করছে। কিন্তু এই বিদ্যালয়ে কোনো অবকাঠামো উন্নয়ন তো দূরের কথা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নেই শ্রেণিকক্ষ, পাঠদানে রয়েছে মারাত্মক ঝুঁকি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরজমিন গিয়ে জানা যায়, বিদ্যালয়টি ১৯১৯ সালে স্থাপিত হয় এবং তিন কক্ষবিশিষ্ট পাকা ভবন নির্মাণ করা হয় ২০০৫ সালে। অবকাঠামো নির্মাণে নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার ও নির্মাণ ক্রুটি হওয়ায় মাত্র ১৭ বছরেই ভবনটি পরিত্যক্ত বা ব্যবহার অনুপযোগী ঘোষণা করা হয়েছে। বিম ও কলামে ফাটল ধরেছে, ছাদের ঢালাই ও প্লাস্টার খসে পড়ছে। গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়টি উপজেলা এলজিইডির সার্ভেয়ার পরিদর্শন করে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে প্রতিবেদন দিয়েছেন। স্কুলের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মণ্ডলকে এ বিষয়ে অবহিত করলে তিনি উপজেলা প্রকৌশলীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন। এখনো পর্যন্ত বিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মরিয়ম ও চতুর্থ শ্রেণির লিমা বলে, আমরা স্কুলে ক্লাস করতে পারি না, বিল্ডিং ভেঙে মাথার ওপর খোয়া, বালু পড়ে। আমাদের স্কুলে সুন্দরভাবে ক্লাস করতে নতুন বিল্ডিং প্রয়োজন।
তামাই খন্দকার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত প্রামাণিক বলেন, বিদ্যালয়টি শতবর্ষ অতিক্রম করেছে। বিদ্যালয়ে ১৮২ জন শিক্ষার্থী ও ৫ জন শিক্ষক রয়েছে। ২০০৫ সালে পাকা ভবন নির্মাণে ত্রæটি হওয়ায় ভবনে ভাঙন ও ফাটল ধরেছে, যা ইতোমধ্যে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বিদ্যালয়ে একাডেমিক নতুন ভবন নির্মাণে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি খন্দকার আশরাফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়টি অবহেলায় রয়েছে। এ কারণে কোনো অবকাঠামো উন্নয়ন হয়নি। পুরনো একটি জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ঝড়, বৃষ্টিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানো যায় না। বিদ্যালয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ অতীব জরুরি।
বেলকুচি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফজলুর রহমানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নিলামের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়কে অবহিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে নতুন ভবনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়