নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস আজ

আগের সংবাদ

কালো টাকার অবাধ সুযোগ! : বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে বিরল উদ্যোগ, কর দেয়ায় নিরুৎসাহিত হবে সৎ করদাতারা

পরের সংবাদ

বরিশালে সংবাদ সম্মেলন : ওসির বিরুদ্ধে ঠিকাদারকে ফাঁসানোর অভিযোগ

প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বরিশাল প্রতিনিধি : ঘটনার তদন্ত ছাড়াই প্রতিপক্ষের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে প্রথম শ্রেণির ঠিকাদারের বিরুদ্ধে একের পর এক চুরির মামলা গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ জ মো. মাসুদুজ্জামান মিলুর বিরুদ্ধে। ওই ঠিকাদারের কাছ থেকে দাবি করা মাসোহারা না পেয়ে এমন ঘটনা ঘটাচ্ছেন বলে দাবি ঠিকাদারের। গতকাল শনিবার শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন ঠিকাদার ফেরদৌস ওয়াহিদ রাসেল।
লিখিত বক্তব্যে ফেরদৌস ওয়াহিদ রাসেল বলেন, তার চাচা এনায়েত হোসেন সরদারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল। এনায়েত হোসেন সরদার তাকে ঘায়েল করতে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি বাসার কেয়ারটেকার দিয়ে থানায় ১৮ হাজার ৫০০ টাকা চুরির অভিযোগ দায়ের করান। ওসি সেই অভিযোগের কোনো ধরনের প্রাথমিক তদন্ত না করে সরাসরি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেন। এছাড়া সেই একই বাদীর দ্বারা ১১ মে ফেরদৌস ওয়াহিদ রাসেলের নিজের জমিতে উত্তোলিত ঘর থেকে মিটার চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগও তদন্ত ছাড়া মামলা হিসেবে গ্রহণ করে রাসেলকে গ্রেপ্তার করেন ওসি মাসুদুজ্জামান মিলু। ফেরদৌস ওয়াহিদ রাসেল বলেন, আমি পিরোজপুরের প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। আমার মা, ভাই ও বোন ইউরোপে বসবাস করেন। অথচ আমার বিরুদ্ধে একই বাদী দিয়ে অভিযোগ আনা হয়েছে আমি সামান্য সাড়ে ১৮ হাজার টাকা চুরি করেছি। শুধু সেখানেই শেষ নয়- আমার নিজের ঘরের মিটার চুরি আমি নিজে করেছি এমন মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কারাভোগও করতে হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ওসি আ জ মো. মাসুদুজ্জামান মিলু পিরোজপুর সদর থানায় যোগ দেয়ার পরে বিভিন্ন জনের মাধ্যমে আমাকে খবর পাঠাতেন এবং ডেকে মাসোহারা দাবি করতেন। আমি দিতে অস্বীকার করায় তিনি আমার বিরুদ্ধে একের পর এক চুরির মামলা তদন্ত না করে ক্ষোভের প্রতিশোধ নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। অভিযোগের বিষয়ে ওসি আ জ মো. মাসুদুজ্জামান মিলু বলেন, জমি বিরোধের জের ধরে তার চাচার সঙ্গে বিরোধ আছে। চাচা মামলা দায়ের করলে আমার কিছুই করার নেই। একই ব্যক্তির বিষয়ে একই বাদী একই অভিযোগে একাধিক মামলা দিতে পারেন কিনা প্রশ্নের জবাবে বলেন, ঘটনাস্থল আলাদা হলে আমি নিতে বাধ্য।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়