নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস আজ

আগের সংবাদ

কালো টাকার অবাধ সুযোগ! : বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে বিরল উদ্যোগ, কর দেয়ায় নিরুৎসাহিত হবে সৎ করদাতারা

পরের সংবাদ

ফুলছড়ি ও কমলনগরে মানববন্ধন : নদী ভাঙন থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষার দাবি

প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সারাদেশ ডেস্ক : নদী ভাঙন থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষার দাবিতে গতকাল শনিবার গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা ও ল²ীপুরের কমলনগর উপজেলায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন এলাকাবাসী। এ ব্যপারে ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি জানান, দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর উড়িয়া গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনকবলিত এলাকায় নারী-পুরুষ, বৃদ্ধসহ কয়েক শতাধিক মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেন। এতে অংশগ্রহণকারীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য দেন ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম সেলিম পারভেজ, কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা শালু, উড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কামাল পাশা, ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মিয়া, ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম সাজু ও আজাদ হোসেন, শিক্ষক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের খলাইহাড়া ও উড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর উড়িয়া, কটিয়ারভিটা, ভুসিরভিটা, দাড়িয়ারভিটা এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় নদীভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এ এলাকার ৭টি মসজিদ, ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কবরস্থান, ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি ভেঙে যাবে। এ বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন, ভাঙনকবলিত এলাকাগুলো দ্রুত পরিদর্শন করা হবে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে স্থায়ী ব্যবস্থা না হলেও আপাতত অস্থায়ীভাবে জিও ব্যাগ ড্যাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে কমলনগর (ল²ীপুর) প্রতিনিধি বলেন, সকালে পাটারীরহাট এলাকার মেঘনা নদীর তীরে এলাকাবাসী এ মানববন্ধন করে। স্থানীয় ‘পাটারীরহাট বাঁচাও মঞ্চ’ নামে একটি সংগঠন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী ওই মানববন্ধনটির আয়োজন করে। এতে পাটারীরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সরওয়ার আলম সর্দার, ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি আবুল বাসার বাকী ফরাজী, ইউপি সদস্য আব্দুল গফুর, রক্ষামঞ্চের নেতা রাকিব হোসেন লোটাস, হারুন পাটওয়ারী ও আক্তার পাটওয়ারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, গত জুন মাসে একনেকের সভায় মেঘনার ভাঙন থেকে রামগতি ও কমলনগরকে রক্ষায় নদীর তীর রক্ষা বাঁধের জন্য প্রায় ৩১শ’ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। সেই লক্ষ্যে গত ৯ জানুয়ারি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন। সেনাবাহিনী দিয়ে নদীর তীর রক্ষা বাঁধ বাস্তবায়নে স্থানীয়দের দাবি থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাস্তবায়নে এ প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু উদ্বোধনের সাড়ে চার মাস পার হয়ে গেলেও পাটারীরহাট এলাকায় কোনো কাজ হচ্ছে না।
এতে পাটারীরহাট বাজার, পাটারীরহাট তাহেরিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসা, দক্ষিণ চরফলকন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। ল²ীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহম্মেদ জানান, ভাঙন ঠেকিয়ে কমলনগর ও রামগতি উপজেলাকে রক্ষার জন্য তারা আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। খুব শিগগিরই পাটারীরহাট এলাকায় বাঁধ নির্মাণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়