নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস আজ

আগের সংবাদ

কালো টাকার অবাধ সুযোগ! : বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে বিরল উদ্যোগ, কর দেয়ায় নিরুৎসাহিত হবে সৎ করদাতারা

পরের সংবাদ

এবার আজমীর শরীফকে শিব মন্দির দাবি

প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ভারতের উত্তরপ্রদেশের জ্ঞানবাপী মসজিদ, রাজধানী দিল্লির কুতুব মিনার, আগ্রার তাজমহলের পর এবার আজমীরের বিখ্যাত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর দরগা! মুসলিমদের কাছে পবিত্র এই স্থানটিও নাকি এক সময় হিন্দু মন্দির ছিল। এমনটিই দাবি করেছে ভারতের রাজস্থান রাজ্যের এক হিন্দু সংগঠন। খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর দরগায় খননকার্য চালিয়ে শিব মন্দির আবিষ্কার করে তা প্রতিষ্ঠারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। গত শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড এবং ওয়ান ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজমীরের বিখ্যাত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর দরগাকে হিন্দু শিব মন্দির বলে দাবি করেছে রাজস্থানের মহারানা প্রতাপ সেনা নামের একটি সংগঠন। হিন্দুত্ববাদী এই সংগঠনের দাবি, মঈনুদ্দিন চিশতীর দরগার দেওয়ালে তারা বিভিন্ন হিন্দু সংস্কৃতির প্রতীক দেখতে পেয়েছেন। এমনকি দরগার দেওয়াল ও জানালায় নাকি স্বস্তিক চিহ্নও দেখা গেছে।
মহারানা প্রতাপ সেনা নামের ওই সংগঠনটির নেতা রাজ্যবর্ধন সিং পারমারের দাবি, খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর দরগা আসলে প্রাচীন মন্দির। দেওয়াল ও জানালায় স্বস্তিকসহ হিন্দুধর্মের বহু প্রতীক আমরা দেখেছি। আমরা চাই পুরাতত্ত্ব বিভাগ ওই দরগায় গিয়ে সার্ভে করুক।’ যদিও খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী দরগা কর্তৃপক্ষ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা পরিষ্কার করেই জানিয়েছে যে, খাজার দরগার কোথাও কোনো স্বস্তিক চিহ্ন নেই। সুফি সাধক মঈনুদ্দিন চিশতীর এই দরগা আজমীরে প্রায় ৮৫০ বছর ধরে স্বমহিমায় বিরাজ করছে। শুধু মুসলিমরাই নন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিন্দুরাও এসে এই দরগায় প্রার্থনা করেন। সাম্প্রদায়িক উসকানি দেয়ার উদ্দেশেই এই ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।
অন্যদিকে দরগার খাদিমদের সংগঠন আঞ্জুমান সাইয়্যাদ জাদগানের প্রধান মঈন চিশতী জানিয়েছেন, দরগায় কোথাও কোনো স্বস্তিক চিহ্ন নেই, এটি আমরা দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি। সাড়ে আটশ বছর এই দরগা এখানে দাঁড়িয়ে আছে। আজ পর্যন্ত এই ধরনের কোনো প্রশ্ন কেউ তোলেনি। আজ ভারতে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যা আগে কোনোদিন দেখা যায়নি।

তিনি বলেন, খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর দরগায় প্রার্থনা করা কোটি কোটি মানুষের ধর্মীয় তাৎপর্য নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তাদের অনুভূতিতে আঘাত লাগে। সরকারকে এই ধরনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোরও আহ্বান জানান তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, অযোধ্যার রামমন্দির নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর থেকেই দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দুত্ববাদীরা যেন অতিউৎসাহী হয়ে উঠেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়