নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের গণবিজ্ঞপ্তি

আগের সংবাদ

অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার : অভিযানে বন্ধ অনেক প্রতিষ্ঠান

পরের সংবাদ

যমুনার ভাঙনে এক সপ্তাহে পাঁচ শতাধিক বাড়ি বিলীন

প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : বাড়ছে যমুনার পানি। সেইসঙ্গে শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙন। ভাঙনে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে গত এক সপ্তাহে পাঁচ শতাধিক বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এর মধ্যে তিন শতাধিক ভেঙেছে গত দুদিনে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর প্রায় ৫ কিলোমিটার ভাটিতে কাকুয়া ইউনিয়নের চরপৌলী গ্রামটির অবস্থান। প্রতি বছর যমুনার পানি বৃদ্ধি এবং কমার সময় এ এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। এবার প্রথম ভাঙন শুরু হয় এক সপ্তাহ আগে। গত তিনদিন এই ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে।
সরজমিন চরপৌলী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, নদী তীরের মানুষ ঘরবাড়ি ভেঙে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন। গাছগুলোও কেটে নিয়ে যাচ্ছেন তারা। নদী তীরে প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে ঘরবাড়ি সরিয়ে নেয়ার কর্মযজ্ঞ।
এই এলাকার আব্দুর রশীদ শেখ, খন্দকার আলমাস মিয়া ও কাশেম মণ্ডলের বাড়ি শুক্রবার বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের আভাস পেয়ে বৃহস্পতিবারের মধ্যেই তারা ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন।
ওই গ্রামের সাইফুল ইসলাম জানান, ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে। তাদের অনেক দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। ইউনুস আলী নামে এক ব্যক্তি জানান, প্রতি বছর এই গ্রামে ভাঙন দেখা দেয়। কিন্তু এখানে এখনো বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে না। তাই প্রতি বছর শত শত মানুষ গৃহহারা হচ্ছে।
সোবহান মিয়া নামে একজন জানান, এ গ্রামের অনেককেই ভাঙনের কারণে এক জীবনে কয়েকবার ঘরবাড়ি সরাতে হয়েছে।
মমিনুর রহমান মিয়া জানান, গত তিন বছরে তিনি ভাঙনের কারণে তিন বার বাড়ি স্থানান্তর করেছেন। এবারো সেই একই কারণে ঘরবাড়ি স্থানান্তর করতে হচ্ছে। শুধু বাড়িঘর নয়, চরপৌরী মিন্টু মেমোরিয়াল হাইস্কুল, চরপৌলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরপৌলী দাখিল মাদ্রাসা, উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হুমকির মুখে রয়েছে। যে কোনো সময় নদীতে এ প্রতিষ্ঠানগুলো বিলীন হতে পারে।
কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, ভাঙনের বিষয়ে তিনি জেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদে জানিয়েছেন।
মাত্র কয়েকদিনেই পাঁচ শতাধিক বাড়ি বিলীন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভাঙন রোধে এখানে বাঁধ নির্মাণ করা জরুরি। তা নাহলে আগামী দুয়েক বছরের মধ্যেই চরপৌলী গ্রামটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে জরুরি কাজ করে এ ভাঙন ঠেকানো যাবে না। শুকনা মৌসুমে এখানে স্থায়ী বাঁধের কাজ শুরু হবে। সে কাজের দরপত্র খুব শিগগিরই আহ্বান করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়