নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের গণবিজ্ঞপ্তি

আগের সংবাদ

অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার : অভিযানে বন্ধ অনেক প্রতিষ্ঠান

পরের সংবাদ

মির্জা ফখরুলের মন্তব্য : সরকারের পতন ঘটিয়ে ঘরে ফিরবে ছাত্রদল

প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সারাদেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। এ আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবে না তারা। ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার’ দাবিতে গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তাফা জামাল হায়দার, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, এনডিপির চেয়ারম্যান আবু তাহের প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের রাহু থেকে জনগণকে মুক্ত করতে হবে। বিএনপি কোনো ব্যক্তি বা দলকে ক্ষমতায় বসাতে নয়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলনে নেমেছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার পর প্রধান বিচারপতি বিবৃতি না দেয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের

সন্ত্রাসীরা সুপ্রিম কোর্টে ঢুকে হামলা করেছে। অথচ প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা একটি বিবৃতি পর্যন্ত দিলেন না। কারণ, সরকার আজকে সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।
ছাত্রলীগের গুণ্ডারা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নৃশংসভাবে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওরা মেয়েদের ওপরও হামলা করেছে। ছাত্রলীগ লাঠি নিয়ে রাজপথে যেভাবে প্রতিপক্ষকে পিটিয়েছে, তা দেখে পল্টনে লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যার পৈশাচিকতা পুনরাবৃত্তি বলে মনে হয়েছে। এটাই হলো আওয়ামী লীগের চরিত্র। তারা একটি সন্ত্রাসী দল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের প্রতিষ্ঠাতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকেও টিকতে দেয়নি। দলের কাউন্সিলে তাকে হেনস্থা করা হয়েছিল। তিনি বেরিয়ে গিয়ে নতুন দল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি করেন। গত ১৩ বছর আওয়ামী লীগ আমাদের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেছে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। আমি নিজে বহুবার কারাগারে গেছি। এ অবস্থার অবসান করতে হলে যার যার অবস্থান থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। এ সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। কারণ এ সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়