নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের গণবিজ্ঞপ্তি

আগের সংবাদ

অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার : অভিযানে বন্ধ অনেক প্রতিষ্ঠান

পরের সংবাদ

প্রথম ভারতীয় হিসেবে বুকার জিতে নিলেন গীতাঞ্জলী শ্রী

প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : প্রথম ভারতীয় লেখক হিসেবে আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার পেলেন গীতাঞ্জলী শ্রী। হিন্দি ভাষায় লেখা ‘রেত সামাধি’ উপন্যাসের অনুবাদ ‘টুম অব স্যান্ড’-এর জন্য এই স্বীকৃতি পেলেন ভারতের উত্তর প্রদেশের এই নারী। ঔপনিবেশিক শাসনের অবসানে ভারত ভাগের প্রেক্ষাপটে একটি পরিবারের উপাখ্যান উঠে এসেছে ‘টুম অব স্যান্ড’ উপন্যাসে। স্বামীর মৃত্যুর পর ৮০ বছর বয়সি এক নারীকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে উপন্যাসের কাহিনী। খবর বিবিসি।
খবরে বলা হয়েছে, ‘রেত সামাধি’ হিন্দি ভাষার প্রথম বই, যা ৫০ হাজার পাউন্ড অর্থমূল্যের এই পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিল। পুরস্কার পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় গীতাঞ্জলী বলেন, আমি কখনোই বুকার পাওয়ার স্বপ্ন দেখিনি। আমি ভাবিনি, কখনো আমার ভাগ্যে এ পুরস্কার জুটবে। বিশাল এক স্বীকৃতি। আমি অভিভূত, বিস্মিত, সম্মানিত এবং কৃতজ্ঞ।
প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) বরাতে বিবিসি জানায়, হিন্দি ভাষার প্রথম বই হিসেবে গীতাঞ্জলীর লেখা বই বুকার জেতায় দারুণ আপ্লুত এই লেখক। তিনি বলেন, আমার এবং আমার এই বইয়ের অন্তরে বইছে হিন্দি এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য ভাষার সমৃদ্ধ ও বিকাশমান সাহিত্যের ঐতিহ্য। এসব ভাষার অসাধারণ কিছু লেখকের বিষয়ে জানতে পারলে বিশ্বসাহিত্য আরো সমৃদ্ধ হবে।
আন্তর্জাতিক বুকারের বিচারক প্যানেলের সভাপতি ফ্রাংক ওয়েন বলেন, বইটির কাহিনীর শক্তি, শোক উসকে দেয়ার ক্ষমতা আর সহজ আনন্দের উচ্ছ¡াস বিমোহিত করেছে তাদের। ভারত এবং দেশভাগ নিয়ে এটি দ্যুতিময় এক উপন্যাস। এর মনোমুগ্ধকর বর্ণনাশৈলী আর তীক্ষè আবেগের ঢেউ তরুণ, বৃদ্ধ, নারী ও পুরুষ, পরিবার ও একটি দেশকে সময় পরিভ্রমণ করিয়ে আনবে।
ফ্রাংক ওয়েন বলেন, এর আগে তিনি এমন উপন্যাস আর পড়েননি। তার ভাষায়, ‘প্রাণোচ্ছ¡লতা’ আর ‘আবেগ’ এই উপন্যাসকে এমন একটি বইয়ে পরিণত করেছে যা ‘এ মুহূর্তে বিশ্বের পাঠকের পড়া জরুরি’। পুরস্কারের অর্থ গীতাঞ্জলী শ্রী এবং বইয়ের অনুবাদক যুক্তরাষ্ট্র-নিবাসী ডেইজি রকওয়েলের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হবে। প্রতি বছর যুক্তরাজ্য বা আয়ারল্যান্ডে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করা যে কোনো আন্তর্জাতিক ভাষায় লেখা একটি বইকে আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার দেয়া হয়। বুকার পুরস্কার ও ম্যান বুকার পুরস্কারের সমান মর্যাদারই আরেকটি পুরস্কার এটি।
এ বছর আন্তর্জাতিক বুকারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিল মিয়েকো কাওয়াকামি, বোরা চুং, জন ফসে, ক্লাউডিয়া পিনেরিও ও সাবেক পুরস্কার বিজয়ী ওলগা তোরারচুকের লেখা আরো পাঁচটি বই। ভারতের উত্তর প্রদেশের মনিপুরি শহরে জন্ম নেয়া গীতাঞ্জলী শ্রী তিনটি উপন্যাস এবং কয়েকটি গল্প সংকলনের রচয়িতা। ‘টুম অব স্যান্ড’ যুক্তরাজ্যে তার প্রকাশ হওয়া প্রথম বই। হিন্দি ভাষায় ‘রেত সামাধি’ প্রকাশ হয় ২০১৮ সালে। বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে গীতাঞ্জলী বলেন, তার উপন্যাসে যে মানবিক গল্প বলা হয়েছে, সংস্কৃতিভেদে তার একটি সর্বজনীন আবেদন রয়েছে।
উপন্যাসের অনুবাদক রকওয়েল বলেন, তিনি এ পর্যন্ত যা কিছু অনুবাদ করেছেন তার মধ্যে অন্যতম কঠিন কাজ ছিল ‘টুম অব স্যান্ড’। কারণ গীতাঞ্জলীর লেখার ‘নিরীক্ষাধর্মী বৈশিষ্ট্য’ এবং ‘ভাষা প্রকাশের নিজস্ব শৈলী’ অনুবাদে অটুট রাখার দায়িত্বটি ছিল দুরূহ। তবে সেই অভিজ্ঞতা তাকে দিয়েছে অনাবিল আনন্দ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়