নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের গণবিজ্ঞপ্তি

আগের সংবাদ

অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার : অভিযানে বন্ধ অনেক প্রতিষ্ঠান

পরের সংবাদ

চাঁপাইয়ে ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকার আম বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা

প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আতিক ইসলাম সিকো, শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) থেকে : আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ৫ বছরের তুলনায় এবার গাছে কম মুকুল এসেছিল। ফলে ফলন উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা। আম ব্যবসায়ীরা বলছেন- আমবাজারগুলোতে আড়ৎ তৈরির কাজও চলছে পুরোদমে। এ মাসেই বাজারে উঠবে পাকা আম। আর কৃষি বিভাগ জানিয়েছে- এবার আমপাড়া বা বাজারজাতকরণে কোনো সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। পরিপক্ব হলেই আম বাজারজাতকরণ করতে পারবেন চাষিরা।
চলতি বছর বাজারে আম বিক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা। এ ব্যাপারে সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের আম চাষি শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার গত বছর পাঁচ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের আমবাগান ছিল। গাছে মুকুলও এসেছিল, ভালো ফলনও হয়েছিল। তবে দাম ভালো না থাকায় তেমন লাভবান হতে পারিনি। এ বছর গাছে কম মুকুল এসেছিল। তবুও আশা করছি যদি দাম ভালো হয় কিছু টাকা পাব। এখন আমার বাগানে পরিপক্ব হতে যাচ্ছে গোপালভোগ, হিমসাগর (ক্ষিরসাপাত) ও বিভিন্ন গুটিসহ বেশ কিছু জাতের আম। এ মাসেই শেষে বাজারে উঠবে আম। তবে যতই বেশি দাম হোক না কেন, গত বছরের তুলনায় বেশি টাকা পাওয়া সম্ভব নয়। কারণ গাছে অনেক আম কম ধরেছে এবার।
উপজেলার পুখুরিয়া এলাকার বিপ্লব বিশ্বাস বলেন, ১০-১৫ দিন পরই আমার বাগানের লক্ষণভোগ ও ক্ষিরসাপাতসহ বেশ কিছু গুটি জাতের আম বিক্রির উপযোগী হবে। জুনের মাঝামাঝি সময়ে ল্যাংড়া ও মাসের শেষের দিকে বাজারে আসবে ফজলি আম। তবে এ বছর সব আমের গাছেই মুকুল কম এসেছিল। ফলে ফলনও দেখা দিয়েছে কম। আর একটা গোপালভোগ গাছে ৫ মণের মতো আম আছে। তা কিনে নেয়ার জন্য এখনই অনেক ক্রেতা ঘুরছেন। কিন্তু অপরিপক্ব আম আমি বিক্রি করতে চাই না।
শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামীম বলেন, গত ৫ বছরের তুলনায় এবার প্রায় প্রতিটি গাছে মুকুল কম এসেছিল। ফলে আমের উৎপাদন কম। যদিও এবার আম পাড়ার সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করেনি প্রশাসন। এতে আমরা লাভবান হবো। আম পাকলেই বাজার ও আড়তে বিক্রি করতে পারব। এ মাসেই শেষ দিকে বেশকিছু গুটি জাতের আম পাকবে বলেও জানান তিনি।
উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কানসাট আমবাজার ছাড়াও নওগাঁর সাপাহারে আম বিক্রয় করে থাকি। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ বিঘা আমবাগান রয়েছে আমার।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নজরুল ইসলাম ভোরের কাগজকে বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার গাছে মুকুল কম এসেছিল। ফলে ফলনের লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা কমেছে। গত বছর ৩ লাখ ২৫ হাজার টন আম উৎপাদনের নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এবার নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার টন। যা দামের হিসেবে প্রায় ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা। এ বছর আম পাড়ার কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। আম পাকলেই চাষিরা বাজারজাত করতে পারবেন। এ জেলায় ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়