সোনালী ব্যাংক (ইউকে) লিমিটেড : বড় মুনাফা এনেছিলেন আতাউর রহমান প্রধান

আগের সংবাদ

ভরা মৌসুমেও চালে অস্থিরতা : খুচরা বাজারে মোটা চাল ৫০ টাকা, পিছিয়ে নেই সরু চালও > কুষ্টিয়া ও নওগাঁয় বাড়ছে দাম

পরের সংবাদ

প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবনা : কর বাড়িয়ে তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে হবে

প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার জন্য কর বাড়ানোর মাধ্যমে তামাক দ্রব্যের দাম বাড়ানো একটি আন্তর্জাতিকভাবে অনুসৃত পদ্ধতি। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রæত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখার জন্য আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের কর ও দাম বাড়ানো জরুরি। তামাক কর এমনভাবে বাড়ানো উচিত যাতে সেবনকারীরা নিরুৎসাহিত হন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিমতই ব্যক্ত করেন সংসদ সদস্য ও বিশ্লেষকরা। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. অরূপরতন চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মানস; মো. মোস্তাফিজুর রহমান, লিড পলিসি অ্যাডভাইজার, সিটিএফকে-বাংলাদেশ, আবদুস সালাম মিয়া, গ্র্যান্টস ম্যানেজার, সিটিএফকে-বাংলাদেশ এবং এস এম রাশেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত বলেন, জনস্বাস্থ্যের জন্য তামাক খুবই ক্ষতিকর একটি দ্রব্য। এর আর্থিক ক্ষতি কম নয়। ফলে তামাক ব্যবহার কমানোর জন্য সব ক্ষেত্রেই উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষত ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার জন্য তামাক কর বাড়ানো খুবই জরুরি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, অন্যান্য করের সঙ্গে তামাক করের পার্থক্য রয়েছে। আর এটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে বুঝতে হবে। কারণ তামাকের কারণে যে পরিমাণ কর আহরণ হয়, জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় এর বহুগুণ।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, বর্তমান তামাক কর কাঠামো অত্যন্ত জটিল, যা তামাকের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার পথে একটি বড় বাধা। আর এজন্য এই কর কাঠামোকে সহজ করতে হবে। এটা করে যথাযথ পদ্ধতিতে তামাক-কর বাড়ালে তামাকের ব্যবহার কমাতে তা কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন আক্তার রিনির সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের পরিচালক (গবেষণা) আবদুল্লাহ নাদভী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. শরিফুল ইসলাম।
ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল ইসলাম বলেন, তামাকমুক্ত বাংলাদেশ পেতে হলে কর ব্যবস্থা ও এনবিআরকে ঢেলে সাজাতে হবে।
সিটিএফকে-বাংলাদেশ গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া বলেন, কার্যকরভাবে করারোপের অভাবে বাংলাদেশে তামাকদ্রব্য অত্যন্ত সস্তা এবং সহজলভ্য হয়ে যাচ্ছে। এজন্য তামাকদ্রব্যে কর বাড়াতে হবে।
মানস এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মতো তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে তামাক কর বাড়ানোর বিকল্প নেই।
সিটিএফকে-বাংলাদেশ এর লিড পলিসি এডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সংবাদ সম্মেলনে যে প্রস্তাবনাটি করা হয়েছে সেটি যদি সরকার গ্রহণ করে তবে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমবে ও নতুন ব্যবহারকারীরা নিরুৎসাহিত হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়