ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের উদ্বেগ

আগের সংবাদ

ছাত্ররাজনীতি হঠাৎ উত্তপ্ত কেন > জাতীয় রাজনীতির ষড়যন্ত্রের অংশ : ক্ষমতাসীন দল > নির্বাচনের পথ পরিষ্কার করতেই এই হামলা : বিএনপি

পরের সংবাদ

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি : বিপদসীমার নিচে সব নদীর পানি, কমেনি দুর্ভোগ

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জাহিদুল ইসলাম, সিলেট ব্যুরো : সিলেট নগরীসহ প্রায় সব উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। একমাত্র কানাইঘাট বাদে সব পয়েন্টে পানি বিপদসীমার নিচে নেমে গেছে। এতে প্রায় সব উপজেলার পানিবন্দি অবস্থা থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন বানভাসি মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার নিচে নেমে আসে। ফলে সিলেট মহানগরীর নিচু এলাকাগুলো থেকেও নেমে গেছে পানি। তবে কানাইঘাট পয়েন্টে এখনো বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে সুরমা। যদিও পানি নামার হার খুব দ্রুত হওয়ায় চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছে পাউবো। এদিকে সিলেটের প্রধান দুই নদীর উৎসস্থল জকিগঞ্জের আমলশীদেও বিপদসীমার নিচে নেমে এসেছে পানি। বর্তমানে এই পয়েন্টে কুশিয়ারা নদী বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময়ে শ্যাওলা, শেরপুর ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার নিচ দিয়ে বইছে কুশিয়ারা।
তবে পানি নেমে গেলেও দুর্ভোগ কমছে না এখনই। বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোর অধিকাংশ সড়কই পানিতে তলিয়ে থাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে পানি নেমে গেলেও সড়ক যোগাযোগ নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে জনসাধারণকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, বন্যায় জেলার প্রায় ৫৮২ কিলোমিটার সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। এর মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় ২৫০ কিলোমিটার, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২৬৭ কিলোমিটার এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন ৬৫ কিলোমিটার সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। এসব সড়কের বহুলাংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পুরো চিত্র না পেলেও এলজিইডি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইনামুল কবীরের মতে ১১১টি রাস্তার ২৬৭ কিলোমিটার অংশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যা পুনর্নির্মাণ ও সংস্কারে অন্তত ১৮০ কোটি টাকার মতো ব্যয় হবে। এছাড়া সদর উপজেলা ও কোম্পানীগঞ্জে দুটি কালভার্ট ভেঙেছে।
এছাড়া বন্যায় অন্তত কয়েক কোটি টাকার মৎস্য খামার ভেসে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সিলেট জেলার ১৫ হাজার ১৬৩ জন খামার মালিক।
সিলেট জেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, এবারের আকস্মিক বন্যায় সিলেটের ১১টি উপজেলায় মোট ১৮ হাজার ৭৪৯টি পুকুর, দীঘি, হ্যাচারি ও মাছের খামার তলিয়ে গেছে। এতে ২ কোটি ১৩ লাখ মাছের পোনা এবং ২ হাজার ৩০৫ টন মাছ বন্যার পানিতে ভেসে মাছ চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মাছ ভেসে যাওয়া ছাড়াও হয়েছে অবকাঠামোগত ক্ষতি। তবে এখনো ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায়নি।
সিলেট জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ করছেন উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। দ্রুতই ক্ষয়ক্ষতির যথাযথ তথ্য পাওয়া যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়