ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের উদ্বেগ

আগের সংবাদ

ছাত্ররাজনীতি হঠাৎ উত্তপ্ত কেন > জাতীয় রাজনীতির ষড়যন্ত্রের অংশ : ক্ষমতাসীন দল > নির্বাচনের পথ পরিষ্কার করতেই এই হামলা : বিএনপি

পরের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা : শিশু অধিকার নিশ্চিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের উন্নয়নে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। এসব প্রকল্প ইতোমধ্যেই সাড়া ফেলেছে পুরো বিশ্বে। কিন্তু যাদের ওপর দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে সেই শিশুদের অধিকার এখনো লঙ্ঘিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে সুন্দর ও মানবিক মর্যাদাসম্পন্ন রাষ্ট্রের জন্য সব শিশুর অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এটি নিশ্চিতে উল্লিখিত মেগা প্রকল্পের মতো দীর্ঘমেয়াদি একটি পরিকল্পনা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা।
‘শিশুদের জন্য নিরাপদ নগরী’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়। চিলড্রেন অ্যাফেয়ার্স জার্নালিস্টস্’ নেটওয়ার্ক (সিএজেএন) এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, আরবান প্রোগ্রাম যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। গতকাল বুধবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত।
সিএজেএনের সহসভাপতি এবং চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি মোস্তফা কামাল মল্লিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সিনিয়র ডিরেক্টর (অপারেশন্স এন্ড প্রোগ্রাম কোয়ালিটি) চন্দন জেড গোমেজ। বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের ডেপুটি ডিরেক্টর (ফিল্ড প্রোগ্রাম অপারেশন) মঞ্চ মারীয়া পালমা, টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার (আরবান প্রোগ্রাম) যোয়ান্না ডি’ রোজারিও, সিএজেএনের সভাপতি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বিশেষ প্রতিনিধি মাহফুজা জেসমিন ও সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার শিপন হাবীব এবং শিশু ফোরামের সদস্য লামিয়া আক্তার মীম।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সব শিশুর স্বাভাবিক বিকাশকে সুনিশ্চিত করতে ওয়ার্ল্ড ভিশন আরবান প্রোগ্রামের মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় পিছিয়ে পড়া শিশুদের অধিকার নিশ্চিতে ২০২১ থেকে ২৫ সাল পর্যন্ত বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এই কর্মসূচি চারটি বিষয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এগুলো হলো- সব শিশুর জন্য খেলার মাঠ ও বিনোদন পার্ক চাই, আর নয় শিশু শ্রম ও পথ শিশু; ফিরে যাই স্কুলে, শিশুদের জন্য চাই দূষণমুক্ত সবুজ নগরী এবং কিশোর-কিশোরীদের জন্য গুণগত প্রজনন স্বাস্থ্য সেবায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণে প্রতিটি ওয়ার্ডে চাই মানসম্মত ও সুসজ্জিত নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
আরমা দত্ত বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন শিশুবান্ধব রাষ্ট্রনায়ক। প্রতিটি বিষয়ে তিনি শিশুদের কথাটি আগে ভাবেন। আমরা যদি পদ্মা সেতু করতে পারি, স্যাটেলাইট পাঠাতে পারি তাহলে শিশুদের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি একটি পরিকল্পনা কেন বাস্তবায়ন করতে পারব না? এই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা আমরা ২০৪০ সাল পর্যন্ত নির্ধারণ করতে পারি।
সেই সময়সীমাকে নির্ধারণ করে আমরা কীভাবে শিশুদের নিয়ে কাজ করতে চাই সেই রূপরেখা তৈরি করতে হবে। আমার বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রী সেই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়