ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের উদ্বেগ

আগের সংবাদ

ছাত্ররাজনীতি হঠাৎ উত্তপ্ত কেন > জাতীয় রাজনীতির ষড়যন্ত্রের অংশ : ক্ষমতাসীন দল > নির্বাচনের পথ পরিষ্কার করতেই এই হামলা : বিএনপি

পরের সংবাদ

শিক্ষাবোর্ডের ভুয়া নাম্বার ব্যবহার : উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিত চক্রটি, গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভুয়া এনআইডি দিয়ে নিবন্ধিত সিম ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তারা হলেন- মোক্তার হোসেন (৩৪), মো. সাইফুল ইসলাম (৩০) ও মো. আশিকুর রহমান (২৫)। গতকাল বুধবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডি এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। এরআগে গত মঙ্গলবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানিয়েছে, শিক্ষাবোর্ডের ভুয়া নাম্বার ব্যবহারে অনুদান ও উপবৃত্তির টাকা দেয়ার নামে অভিভাবকদের ফোন করে কৌশলে তাদের ব্যবহৃত বিকাশসহ বিভিন্ন অনলাইন ব্যাংকিং মাধ্যমের পিন কোড নিত চক্রটি। সফল হলেই হাতিয়ে নিত টাকা। পরে যা দ্রুত সদস্যদের নাম্বারে অল্প অল্প করে ট্রানজেকশনে ছড়িয়ে দেয়া হতো।
গত ৩-৪ বছর ধরে সক্রিয় এ প্রতারক চক্রের ১২ সদস্যকে শনাক্ত করেছে সিআইডি। এর মধ্যে চক্রের হোতা আশিকুরসহ তিনকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়েছে তারা। প্রতারণায় ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধিত সিম ব্যবহার করছে চক্রটি।
সিআইডি এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, প্রথমে টার্গেট করা মোবাইল নাম্বারে শিক্ষাবোর্ডের নামে মেসেজ দিয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়। মেসেজে নাম্বার হিসাবে এ চক্রের সদস্যের নাম্বার দেয়া হয়। করোনার আগে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তির টাকা দেয়া হলেও করোনার সময় সেটি বন্ধ থাকায় সে সুযোগ নেয় প্রতারক চক্রটি। চক্রের সদস্যরা শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের উপবৃত্তির টাকা দেয়া হচ্ছে বলে প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেন।
প্রতারণার কৌশল উল্লেখ করে সিআইডির এ কর্মকর্তা বলেন, চক্রের সদস্যদের মধ্যে একজন বিকাশ, নগদ বা রকেটের দোকানে টাকা বিকাশ করার কথা বলে দোকানে অবস্থান নেন। কৌশলে বিকাশ গ্রাহকের লেনদেনের খাতার ছবি তুলে নেয় তারা। ওই ছবি ইমো, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে অপর সদস্যের কাছে পাঠিয়ে দেন। সেই সদস্যের তখন কাজ হয় পিন কোড সংগ্রহ করা। তিনি ভুক্তভোগীকে কল করে কথাবার্তার মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেন। আলাপচারিতায় একটি পিন কোড পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে যোগ বা বিয়োগ করে মোবাইল একাউন্টের পিন কোড সংখ্যাটি জানার চেষ্টা করেন তারা। না বুঝে এই ফাঁদে পড়েই যোগ-বিয়োগের উত্তর দিয়ে পিন কোডটি জেনে নেয় চক্রটি। পরে অপর এক সদস্য পিন কোড ব্যবহার করে টাকা তুলে সেসব দলনেতা আশিকসহ বিভিন্ন জনের নাম্বারে সেন্ড মানি করে দেন। একপর্যায়ে টাকা ক্যাশআউট করে প্রত্যেক সদস্য ভাগ করে নেন। এভাবে গত ২-৩ বছরে চক্রটি ভুক্তভোগীদের ফাঁদে ফেলে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সেই টাকায় বিলাসবহুল জীবনযাপন করে আসছিলেন তারা।
ভুয়া এনআইডিতে নিবন্ধিত সিম প্রতারণায় ব্যবহার হচ্ছে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, গ্রেপ্তার চক্রের প্রধান আশিক মূলত ভুয়া এনআইডিতে রেজিস্ট্রেশন করা সিমকার্ডগুলো সংগ্রহ করে সদস্যদের সরবরাহ করে থাকেন। যে কারণে তাদের শনাক্ত করাটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়