প্রশ্নফাঁস : মাউশির অফিস সহকারী নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল

আগের সংবাদ

জীবনযাত্রায় চাপ আরো বাড়বে : গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব : শিল্প ও কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে > সব পণ্যেরই দাম বাড়বে

পরের সংবাদ

সচেতনতামূলক পুতুল নাটক

প্রকাশিত: মে ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পুতুল নাটক ও গম্ভীরা প্রদর্শনের মাধ্যমে রাজশাহীতে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে য²া নির্মূলে সচেতনতামূলক কর্মসূচি। ‘য²া হলে নেইকো ভয়, সবাই মিলে করবো জয়’ সেøাগান নিয়ে জেলার ৯টি উপজেলায় ১৮ দিনব্যাপী ৪৫টি প্রদর্শনীর মাধ্যমে চলবে এই আয়োজন। অনুষ্ঠানগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি হাটবাজারেও অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান আয়োজকরা।
মঙ্গলবার পবা উপজেলার ঘোলহাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে য²াবিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে পুতুল নাটক ও গম্ভীরা প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্কুলটির শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন। প্রদর্শনী কেন্দ্রের পাশে য²ার প্রাথমিক লক্ষণ নির্ণয়ে একটি ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনটি বিশেষভাবে সজ্জিত গাড়ির মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ নাটক প্রর্দশন করা হয়। বিনোদনমূলক পরিবেশে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই রাজশাহীর জনপ্রিয় গম্ভীরা গানে নানা-নাতির খুনসুটির মাধ্যমে পুতু নাটকটি প্রর্দশন করা হয়। এর আগে স্বাস্থ্যবিধি মানতে শিশুদের মাস্ক দেয়া হয় এবং তাদের মাঝে পুতুল রং করতে দেয়া হয়।
আয়োজকরা জানান, য²াবিষয়ক ভ্রান্ত ধারণা ও য²া নির্মূলে নানা প্রতিবন্ধকতা দূর করার উদ্দেশ্যে য²া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অধীনে আইসিডিডিআর,বি পরিচালিত ইউএসএআইডি’স অ্যালায়েন্স ফর কমব্যাটিং টিবি ইন বাংলাদেশ (এসিটিবি) কার্যক্রমের আওতায় এই সচেতনতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জলপুতুলের পরিচালক সাইফুল জার্নাল বলেন, বড়দের য²ার বিষয়টি মানুষ জানলেও শিশুদের বিষয়টি অনেকেই জানেন না; তাই শিশুদের য²া নির্মূলে সচেতন করতেই এই আয়োজন। শিশুদের আকৃষ্ট করা এবং বোঝার সুবিধার্থে পুতুল নাটকের মাধ্যমে প্রচারণা করা হচ্ছে এবং গম্ভীরা যেহেতু রাজশাহীর জনপ্রিয় গান তাই এই বিনোদনের মাধ্যমে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির এই উদ্যোগ।
য²ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন ২০২১ অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট য²া রোগীর ১০ শতাংশ শিশু। যার মধ্যে ২০২০ সালে বাংলাদেশ মাত্র ৪ শতাংশ শনাক্ত করতে সক্ষম হয়, যাদের বয়স শূন্য থেকে ১৪ বছর। এ রোগ শিশুদের মাঝে নীরবে বিস্তার লাভ করে ও অগোচরেই থেকে যায়, যা পরবর্তীতে মরণঘাতী ব্যাধি হিসেবে প্রকাশ পায়।
প্রচলিত ভুল ধারণার কারণে য²া রোগে আক্রান্তের বিষয়টি গোপন ও অবহেলা করা য²া পরিস্থিতিকে আরো খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। য²ার লক্ষণ শনাক্ত ও চিকিৎসা পেতে এবং য²া নির্মূলে এই প্রচারণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
:: মেলা প্রতিবেদক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়