প্রশ্নফাঁস : মাউশির অফিস সহকারী নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল

আগের সংবাদ

জীবনযাত্রায় চাপ আরো বাড়বে : গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব : শিল্প ও কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে > সব পণ্যেরই দাম বাড়বে

পরের সংবাদ

নজরুল সাহিত্যে সিনেমা

প্রকাশিত: মে ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাজী নজরুল ইসলাম নিজে ছিলেন চলচ্চিত্রকার। অথচ তার সাহিত্যকর্ম থেকে বলার মতো ছবির সংখ্যা কম। নির্বাক যুগে অবিভক্ত বাংলায় তার সাহিত্য থেকে ছবি হয়েছে বেশকিছু। স্বাধীন বাংলাদেশে এসে ভাটা পড়ে কাজের ধারায়।
নজরুলের উপন্যাস ‘মৃত্যুক্ষুধা’ এবং গল্প ‘ব্যথার দান’ ও ‘পদ্মগোখরা’ অবলম্বনে ছবি নির্মিত হয়েছে। নজরুলের অন্যতম সেরা গল্প ‘পদ্মগোখরা’ অবলম্বনে নির্মিত ‘সুখ-দুঃখ’। একই কাহিনী নিয়ে ‘মায়ার বাঁধন’ নামে অপর একটি ছবি তৈরি হয়। এরপর লম্বা বিরতি। কোথাও নজরুলের দেখা মেলে না। টিভিতে ও মঞ্চে নজরুল থাকলেও সেলুলয়েডে একেবারে হাহাকার লেগে যায়। ২০০৬ সালে খরা কাটে। নজরুলের ‘মেহেরনেগার’ আসে সেলুলয়েডে। ছবিটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন মুশফিকুর রহমান গুলজার ও মৌসুমী। চলচ্চিত্রে প্রধান দুই চরিত্র কাশ্মিরের তরুণী মেহেরনেগারের চরিত্রে মৌসুমী এবং আফগান যুবক ইউসুফের ভূমিকায় ফেরদৌস অভিনয় করেন। এতে অভিনয়ের জন্য মৌসুমী কলকাতা থেকে পান শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর কালাকার অ্যাওয়ার্ড। ছবিটি প্রযোজনা করে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। একই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের আরেকটি ছবি নির্মিত হয় নজরুলের গল্প ‘রাক্ষুসী’ অবলম্বনে। ‘রাক্ষুসী’ ছবির পরিচালক মতিন রহমান। তিনটি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন রোজিনা, পূর্ণিমা ও ফেরদৌস। এ ছবির মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর অভিনয়ে ফেরেন অভিনেত্রী রোজিনা। সর্বশেষ ২০১৪ সালে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম নির্মাণ করে নজরুলের ‘অতৃপ্ত কামনা’ ‘প্রিয়া তুমি সুখী হও’।এ ছবির মাধ্যমে পরিচিতি পান এর পরিচালক গীতালী হাসান। অভিনেত্রী সায়লা সাবি সেরা নাচিয়ে প্রতিযোগিতা থেকে আসেন সিনেমায়। এ ছবিতে গান গাওয়ার জন্য শ্রেষ্ঠ গায়িকার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান রুনা লায়লা। উপরোক্ত তিনটি ছবির কোনোটিই বড় পরিসরে নির্মিত হয়নি। স্বল্প বাজেটে নির্মিত ছবিগুলো শুধুমাত্র টেলিভিশনে প্রদর্শিত হয়েছে। ইমপ্রেসের ছবিগুলো বেশি দর্শকের কাছে পৌঁছতে পারেনি। অথচ দাবি ছিল, নজরুলের গল্প দেশজুড়ে সিনেমা হলে হলে ছড়িয়ে দেয়ার। ছবিগুলোর কপালে খুব বেশি প্রশংসাও জোটেনি। নামকাওয়াস্তে নজরুল এসেছেন সাম্প্রতিক সিনেমায়। এতে সিনেমাপ্রেমীরা আশাহত হয়েছেন। ছবির বাইরে নজরুলের গান বা গানের অংশবিশেষ উঠে এসেছে সাম্প্রতিক সিনেমায়। ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে হুমায়ূন আহমেদের ‘চন্দ্রকথা’, তৌকীর আহমেদের ‘দারুচিনি দ্বীপ’, শিহাব শাহীনের ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ ও সানিয়াত হোসেনের ‘অল্প অল্প প্রেমের গল্প’। বছর সতের আগে আগুনের গাওয়া ‘মোর প্রিয়া হবে এসো রানী’ গানটির জনপ্রিয়তাকে কেউ ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। এই গানটি বেশ শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। বাণিজ্যিক ছবিতে ব্যবহৃত হয়েও নজরুলের গান শ্রোতাদের মন জয় করে।
:: মেলা প্রতিবেদক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়