এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের নিন্দা

আগের সংবাদ

পারাপারে প্রস্তুত স্বপ্নের সেতু : প্রধানমন্ত্রী সময় দিলেই উদ্বোধন, ১৫ দিনের মধ্যে শতভাগ প্রস্তুত হবে সড়কপথ

পরের সংবাদ

প্রাণের নৈবেদ্য স্তবক

প্রকাশিত: মে ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ফরিদ আহমদ দুলালের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রায় দুই দশক আগে প্রকাশিত হয়েছে ইফফাত আরা সম্পাদিত ‘দ্বিতীয় চিন্তা’। প্রায় আড়াইশ পৃষ্ঠার সে সংকলনে তাকে নিয়ে অন্তত ত্রিশটি গদ্য প্রকাশিত হয়েছে। সে সংকলনে ‘শুভ কামনার বার্তা’ শিরোনামে একটি অধ্যায় আছে, যেখানে বেশ ক’জন বরেণ্য মানুষের শুভকামনা আছে। সেখান থেকে কয়েকটি উদ্ধৃত করছি-

জ্ঞান আহরণের স্পৃহা একজন লেখকের জ্ঞান-ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে। ফরিদ আহমদ দুলাল তেমনি একজন লেখক যিনি জ্ঞানের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য অবিরত তাড়িত এবং জ্ঞানের উৎস খুঁজে বের করার কাজে সদা নিরত। তার রচনা-সম্ভারে সেই সত্য অত্যন্ত সুস্পষ্ট। তিনি একজন সব্যসাচী লেখক। একাধারে কবি, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার এবং সর্বোপরি গবেষক। তার রচনায় পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচারে গবেষণাধর্মী মনের প্রতিফলন পরিদৃষ্ট। তিনি তথ্যকে উপাত্ত করে তার রচনাকে সমৃদ্ধ করেন একজন সুপটু কারিগরের মতো। ফলে তার প্রতিটি লেখাতেই প্রস্ফুটিত হতে দেখা যায় সুবাতাস, যার সুগন্ধে বাংলা সাহিত্য যেন পরিণত হয় এক মর্মরিত তপোবনে। ফরিদ আহমদ দুলাল তার মননশীল রচনা-সম্ভার দিয়ে বাংলা সাহিত্যের ভুবনকে প্রতিনিয়ত সমৃদ্ধ করে তুলুন এই প্রত্যাশা। শুভার্থী-

মোবারক হোসেন খান
বিশিষ্ট সংগীত বোদ্ধা, সাবেক মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

ময়মনসিংহের সংস্কৃতিসেবী ফরিদ আহমদ দুলালের ওপর দ্বিতীয় চিন্তা একটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করছে জেনে খুব খুশি হলাম। দুলাল সাংস্কৃতিক জোট, থিয়েটার এসোসিয়েশন ও সাহিত্য সংসদে গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেছেন। দ্বিতীয় চিন্তার প্রস্তাবিত সংখ্যাটি হবে তার স্বীকৃতি।
কেবল রাজধানীর সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড দিয়ে বাংলাদেশে কোনো সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের সব প্রান্তের সংস্কৃতিকর্মীরা যদি একজোট হয়ে এক লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক জাগরণ সৃষ্টি করতে পারে, তবেই আমাদের দুঃখের অমানিশার অবসান হবে। আমি ফরিদ আহমদ দুলাল ও দ্বিতীয় চিন্তা- উভয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।

রামেন্দু মজুমদার
সভাপতি, আন্তর্জাতিক নাট্যকেন্দ্র, বাংলাদেশ।

‘সৌরভ’ সম্পাদক কেদারনাথ মজুমদার সম্পর্কে চন্দ্রকান্ত দে যে উচ্ছ¡াস নিয়ে লিখেছিলেন, আমাদের দুলাল- কবি, কথাশিল্পী, নাট্যকার এবং প্রাবন্ধিক ফরিদ আহমদ দুলাল সম্পর্কে সেভাবে লিখতে পারলেই ভালো হতো (ভরসা করি কেউ না কেউ একসময় অবশ্যই লিখবেন), আমার পক্ষে অপারগতা জানাতেই হচ্ছে। বাংলা সংস্কৃতির প্রতি গভীর অনুরাগ দুলালকে সংগঠকের কাজও করিয়ে নিয়েছে। গত বিশ-পঁচিশ বছর ধরে আমি তাকে দেখে আসছি, সাহিত্য সভা, কবিতা পাঠের আসর কী নাট্যানুষ্ঠান, কোথায় নেই দুলাল?
জীবনানন্দ দাশের শতবার্ষিকীর সময় দুলালের আবাসেই জীবনানন্দ দাশের ওপর তার একটা লেখা পড়ার সুযোগ পাই। তার মননশীলতা ও বিচারবোধ দেখে আমি অত্যন্ত অভিভূত হয়েছি। লেখাটা প্রায় জোর করেই নিয়ে আসি বাংলা একাডেমির ‘উত্তরাধিকার’ এর বিশেষ সংখ্যার জন্য। সংখ্যাটি নানা কারণে বেরুতে দেরি হচ্ছিল। আমার তর সইছিল না, অন্য একটি কাগজে লেখাটা দিই এবং সঙ্গে সঙ্গে ছাপাও হয়। ভালো লাগছে বলতে, লেখাটা পড়ে আমার মতো অনেকেই খুশি হয়েছেন। ঠিক মনে পড়ছে না, আমার স্মৃতিশক্তি ভীষণ খারাপ তো, ‘এবঙ লাঠিয়াল’ নাটক মঞ্চে দেখার পর বইটি তিনি আমাকে দিয়েছিলেন, নাকি বইটা পড়ার পর নাটকটি দেখেছিলাম। বলতে দ্বিধা নেই, দুলাল নাটকের ক্ষেত্রে যদি আরো একটু সময় দিতে পারতেন, আমাদের টিভির সিরিয়ালগুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারতেন খুবই ভালো হতো।
……………………………
সৌরভ’ একসময় জগৎ মাতিয়েছিল, পূর্ববঙ্গ গীতিকা, ময়মনসিংহ গীতিকার অসাধারণ কবিদেরকে, গ্রাম্য কবিয়ালদের উপস্থিত করে ইউরোপের মনীষীদের শ্রদ্ধা আকর্ষণ করতে সাহায্য করেছিল- ‘দ্বিতীয় চিন্তা’ বিশেষ সংখ্যাগুলো প্রকাশ করে আমাদেরকে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করছেন সম্পাদক। মনে পড়ে, বেশ কয়েক বছর আগে পত্রিকার সম্পাদককে আমি অভিনন্দন জানিয়ে একটা চিঠি দিয়েছিলাম, তার সাহস, নিষ্ঠা এবং যোগ্যতার তারিফ করেছিলাম; ভালো লাগছে, এই ভালো লাগার আয়তন আর পরিধি আরো বাড়ছে বলে। দ্বিতীয় চিন্তার জন্য শুভ কামনা- শুভেচ্ছা দ্বিতীয় চিন্তা সম্পাদককেও; আর অভিবাদন প্রিয়জন দুলালকে।

আসাদ চৌধুরী
ষাটের অন্যতম প্রধান কবি ও বাগ্মী।

ফরিদ আহমদ দুলাল একাধারে কবি, গল্পকার, প্রাবন্ধিক এবং নাট্যকার। তিনি একজন সফল অভিনেতা ও নাট্য নির্দেশকও। আমাদের নাট্যচর্চায় দুলাল একনিষ্ঠ নাট্যকর্মী। একজন কবি বা প্রাবন্ধিক হতে পারেন নিভৃত চরিত্র; কিন্তু নাট্যকার-নাট্যকর্মীকে হতে হয় প্রয়োগ শিল্পী। প্রয়োগ ছাড়া কোনো নাটকই পূর্ণতা পায় না; তাই একজন নাট্যকারকে কাজ করতে হয় দল নিয়ে এবং যুক্ত হতে হয় দলগত সাংগঠনিক কর্ম প্রক্রিয়ায়। নাট্যকার ফরিদ আহমদ দুলাল একজন সফল প্রয়োগ শিল্পী। সম্ভবত এ কারণেই দুলাল নিবেদিত প্রাণ কবি হয়েও একজন সফল সংগঠক।
আমাদের নাট্যাঙ্গনের একজন নিবেদিত প্রাণ সংগঠক ও নাট্যকারকে নিয়ে ‘দ্বিতীয় চিন্তা’ একটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে জেনে আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি। দ্বিতীয় চিন্তা সম্পাদককে আমি অভিনন্দন জানাই তার সুচিন্তিত উদ্যোগের জন্য। ফরিদ আহমদ দুলাল এর বিপুল সাফল্য প্রত্যাশী আমি।

ম. হামিদ
নাট্য নির্দেশক ও নাট্যকার।
সভাপতিমণ্ডলির সদস্য, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন।

এবার আসি সাম্প্রতিক সময়ে, ফরিদ আহমদ দুলাল প্রসঙ্গে তার সতীর্থ ও অনুজ বন্ধুদের কিছু মন্তব্য স্মরণ করছি-

নমিত শ্রদ্ধায় আপনাকে ধন্যবাদ জানাই কবি। আপনার কাব্য নৈবেদ্য আমার জন্য পরম সুন্দর উপহার। আপনার সার্বক্ষণিক শিল্পসাহিত্য ও নান্দনিকতার চর্চা আমাকে প্রাণিত করে, সাহিত্য সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে আপনার বহুমাত্রিক কাজ ও ভাবনায় আমি নানাভাবে সমৃদ্ধ হই, শিক্ষিত হই। আজকের এই কাব্যোপহারের প্রতিটি শব্দকে সুন্দরতম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় নন্দিত করি।
কবির কলম দীপশিখার মতো শুদ্ধ দিনের আলোর পথে নিয়ে যাবে মানুষকে। আপনার কবিতার মধ্যে তারই মন্ত্রধ্বনি। ভালো থাকুন ভালোমানুষ কবি। ঝর্না রহমান, ঢাকা

ময়মনসিংহে থাকেন কবি সম্পাদক ফরিদ আহমদ দুলাল …২০২০ সালে করোনাকালে ফেসবুকে আয়োজন করেছিলেন ষটপদী কবিতা বা ছয় পঙ্ক্তির কবিতা প্রকাশের….২৯৩ জন কবির কবিতা আপলোড করেছিলেন দুলালভাই…তার থেকে ২৩২ জনের কবিতা নিয়ে তিনি একটি সুন্দর সংকলন প্রকাশ করেছেন…বন্ধু কবি ও শিল্পী শ্যামল জানা সম্প্রতি বাংলাদেশ গিয়েছিল তার সঙ্গেই পাঠিয়েছেন সংকলনটি…‘স্বতন্ত্র সাহিত্যপত্র’ আর ‘বাতর ধ্বনিপত্র’ এর যৌথ উদ্যোগে… কত যতœ নিয়ে সংকলনটি করেছেন দুলালভাই…শিল্পী শামীম আশরাফের প্রচ্ছদ …বন্ধু শ্যামলের করা নামলিপি …
কি আনন্দ …খুব আনন্দ….আজ বইটি পেলাম….বন্ধু শ্যামল নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ থেকে…ভালোবাসা ফরিদ আহমদ দুলাল আর শ্যামল জানা।
রামকিশোর ভট্টাচার্য, কবি, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

“সমুখে দাঁড়ালে মৃত্যুদূত এসে কোলাকুলি করে
এ পথ কেবল ভালোবাসে এবং সাহসে মরে
এ পথে কষ্টের সংক্রমণ রক্তচক্ষু লয়ে ঘোরে দুঃশাসন
সেখানে অনড় অন্ধকার পূর্ণিমায় লাগে অনন্ত গ্রহণ;
তবুও সে পথে সারাক্ষণ আলো প্রজ¦ালন করি
স্বর্গোদ্যান প্রত্যাখ্যান করে কবিতা কানন গড়ি।”

কী অনন্য মন জাগানিয়া প্রত্যয়! স্বর্গোদ্যান প্রত্যাখ্যান করে এই দৃপ্ত ব্রত নিয়েই তো কবিতার জন্য বেঁচে থাকা। সব কবিদের মনের কথাই যেন বলে দিলেন। আপ্লুত হলাম ভাই। আপনার কাব্যযাত্রায় আমার সংযুক্তি, এ আমার পরম পাওয়া। কাব্যময় অভিবাদন।

হৃদয়গ্রাহী কবিতা। অনবরত আপনার কাব্যসুধা পান করে তৃপ্ত হচ্ছি। অভিবাদন ভাই!

খসরু পারভেজ, কবি ও গবেষক, যশোর

সাহিত্যের আঙিনায় যাদের সাহচর্যে একটা বিকেল পকেটে ভরে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত কাটিয়েছি শব্দ মিছিলে, আজ তারা প্রায় সকলেই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গেছেন। ইহজাগতিক সকল দেনাপাওনা তারা মিটিয়ে পারজাগতিক পথে গমন করেছেন। তারা রেখে গেছেন তাদের সৃষ্টি সম্ভার। আমরা যারা শব্দের শরবত পান করার জন্য নিত্য পথে পথে ছুটে চলি তাদের দরকার একটা হাত। যে হাত কাঁধে আলতো করে চাপ দিয়ে বলবে, ভয় নেই, সামনে এগোও। দরকার একটা বটগাছের ছায়া। যে ছায়ায় একটু জিরোলেই শরীর সতেজ হয়ে যাবে তত্ত্ব ও তথ্যের মণি-মানিক্যে।
বহুদিন পর সাহিত্যের আঙিনায় আবার দু’জন বিশাল বটবৃক্ষের দেখা পেয়েছি। যারা বিগত পঞ্চাশ বছর ধরে শব্দের প্রকৌশলী হয়ে বাংলা সাহিত্যের নানান শাখায় খেদমত করে যাচ্ছেন। দু’জনেই আবার সত্তর দশকের গুরুত্বপূর্ণ কবি। একজন কবি ফরিদ আহমদ দুলাল এবং অন্যজন কবি মাহমুদ কামাল।
যত রাতই হোক কিংবা ভয়াবহ দুপুরের উষ্ণতা হোক ফরিদ আহমদ দুলাল ভাইকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেন এবং স্বভাবসুলভ ভঙিমায় বলেন, ভাইয়া কী খবর। একজন অগ্রজের এই ভালোবাসা ও স্নেহ পৃথিবীর কোনো বাটখারা দিয়ে পরিমাপ করা যায় না। যে কোনো বিষয়ে তার কাছে লেখা চেয়ে সবসময় পেয়েছি। এবং তিনি যে সময় দেন, সেই সময়ের মধ্যেই লেখা পেয়ে যাই। এমন অগ্রজ এ সময়ে বিরল। কবিতায় ছন্দ জ্ঞানে তিনি অসাধারণ দক্ষ এক কালের কাপ্তান। সম্প্রতি তিনি তার আত্মার কাছাকাছি কয়েকজন কবি, সংগঠক, সম্পাদক, সাহিত্যিককে নিবেদিত কবিতা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে চলেছেন। ব্যতিক্রমী এই আয়োজনে তার প্রতিটি কবিতার শব্দ চয়ন, বাক্যগঠন, নির্মাণ শৈলী, রূপ, রস, গন্ধ আলাদা।
নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি, তার আত্মার আত্মীয়ের তালিকায় আমার মতো নগণ্য শব্দ শ্রমিককে আশ্রয় দেয়ার জন্য। ‘প্রিয়জনের সঙ্গে কাব্যযাত্রা-১৩’ তে আশ্রয় দিলেন তিনি। তার বিশাল মনের কাছে নতজানু। যে স্নেহের চাদরে আপনি জড়িয়ে দিলেন তা মনে থাকবে চিরকাল। একজন অনুজ শব্দ শ্রমিকের কাছে পৃথিবীতে সেরা প্রাপ্তি হলো অগ্রজের ভালোবাসা।

তৌফিক জহুর, কবি ও প্রাবন্ধিক, সম্পাদক- উদ্যান

হে দয়াময় মহান, আমার প্রিয় কবিকে নিরঙ্কুশ সুস্থতায় দীর্ঘায়ু দান করবেন। এমন প্রার্থনা করছি; তার কারণ বর্তমানে কেউ কাউকে নিয়ে লিখে না। সেই সময়ে একমাত্র এবং একমাত্র প্রাণের কবি কি নিদারুন স্বাচ্ছন্দ্যে একের পর এক নতুন নতুন সূর্যোদয় করে চলছেন। গুরু, এই সময়ে আপনাকে ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করছে। দূর থেকে পায়ের ধুলো নিলাম…
রমজান বিন মোজাম্মেল, কবি-সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ

“ব্রহ্মপুত্রও শোনে জয় বাংলা ধ্বনি এবং ছড়িয়ে দেয় হাওয়ায় হাওয়ায় আর জলের ঢেউয়ে ঢেউয়ে। উত্তেজিত ইউসুফ আর মাণিক দু’জন দু’জনকে বেয়োনেট দিয়ে আঘাত করে বারবার। তারপর জলে ভাসিয়ে দেয়। সহ¯্র লাশের পথ ধরে ভেসে যায় আরও দুটি অকুতোভয় বীরের লাশ; ইতিহাস শোনেনি তাদের নাম। কেবল ব্রহ্মপুত্র তার জলে জলরঙে লিখে রাখে দুটি অপ্রকাশ্য নাম।” এই বস্তুনিষ্ঠ স্পষ্ট উচ্চারণ, অসাধারণ।

সৈয়দ নাজমুল করিম, কবি, নেত্রকোনা

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়