মোটরসাইকেলে সার্জেন্ট : ভয়ে পালাতে গিয়ে পথচারীকে চাপা দিলেন অটোচালক

আগের সংবাদ

পি কে কাণ্ডে ভারতেও তোলপাড় : তিন দেশের পাসপোর্ট উদ্ধার, তৃণমূল-বাম দায় ঠেলাঠেলি, তদন্তে যুক্ত হতে পারে সিবিআই

পরের সংবাদ

বিশ্বের দামি ৪ স্মার্টফোন

প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

প্রতি বছরই বৈচিত্র্য নিয়ে আসছে স্মার্টফোন। নতুন ফিচার, দীর্ঘস্থায়িত্ব, ভালো ক্যামেরা, দ্রুত সংযোগ ও বিশাল মেমোরি নিয়ে হাজির হচ্ছে একেকটি স্মার্টফোন। কিছু প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের দাম আকাশচুম্বী। অ্যাপল, স্যামসাংয়ের মতো কোম্পানির প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের দাম বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সাধারণ ব্যবহারকারীর ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রিমিয়াম স্মার্টফোন কেনা অনেক ব্যয়বহুল হওয়া সত্ত্বেও মর্যাদা ও সামাজিক অবস্থানের নিদর্শন হিসেবে মানুষ এ ধরনের স্মার্টফোন ক্রয় করছে। কিছু স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানি সীমিত সংস্করণের স্মার্টফোন আনছে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের লক্ষ্য করে। দামের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এমন ৬ স্মার্টফোন হচ্ছে-

সনি এরিকসন ব্ল্যাক ডায়মন্ড : সাম্প্রতিক দিনগুলোয় প্রিমিয়াম স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে হয়তো সনি এরিকসনের নাম শোনা যায় না। কিন্তু এ সহ¯্রাব্দের প্রথম দশকে বেশ দামি একটি স্মার্টফোন এনেছিল সনি এরিকসন। এরিকসন ব্ল্যাক ডায়মন্ড নামে ওই স্মার্টফোনটিতে নিজেদের ওয়াকম্যান প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল। ট্রেন্ডহান্টারের মতে, উন্মোচনের পর থেকে প্রতি বছর মাত্র পাঁচ ইউনিট বাজারে আসত। ওই সময়ে ফোনটি কিনতে গ্রাহকদের ব্যয় করতে হতো ৩ লাখ ডলার।

গোল্ডভিশ রেভল্যুশন : শূন্য দশকের শুরুতে গোল্ডভিশের দ্য রেভল্যুশন ছিল বেশ ব্যয়বহুল একটি ফোন। দ্য রেভল্যুশনের পুশ বাটন কির নিচে ছিল একটি অ্যানালগ ঘড়ি। ফোনটির প্লাস্টিক বডি ১৮ ক্যারেটের পিংক ও হোয়াইট গোল্ডে সজ্জিত ছিল। এছাড়া ফোনটির সংখ্যা ও প্রতীকের ১৬টি বাটন ও নেভিগেশন টগলে ছিল ২৯ ক্যারেট ডায়মন্ড। প্রতিটির জন্য ব্যয় করতে হতো ৪ লাখ ৯০ হাজার ডলার।

গ্রেসোর লাক্সর লাস ভেগাস জ্যাকপট : প্রথম দুই ফোনের দাম যদি বিস্ময়কর হয়, তৃতীয় ফোনটির দাম চোখ কপালে তুলতে বাধ্য। গ্রেসোর লাক্সর লাস ভেগাস জ্যাকপটের দাম সাত অংক ছাড়িয়ে। এক্সক্লুসিভ ফোনটি ক্রয়ে গুনতে হয়েছে ১০ লাখ ডলার। ফোনটি মাত্র তিন ইউনিট বিক্রি হয়েছে। জ্যাকপটটির পেছনের কাঠামো তৈরি হয়েছে ২০০ বছর পুরনো আফ্রিকান ব্ল্যাকউড দিয়ে। ফোনটির কাঠামো তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে ১৮০ গ্রামের স্বর্ণ। এছাড়া ৪৫ দশমিক ৫ ক্যারেটের ব্ল্যাক ডায়মন্ড ব্যবহৃত হয়েছে। কিছুটা কম দামে ফোনটি কিনতে চাইলে বিশেষ সুযোগ রেখেছিল গ্রেসো। ব্যয়বহুল ধাতু বাদ দিয়েও ফোনটির দাম ছিল ২ লাখ ডলার।

আইফোন থ্রিজি কিংস বাটন : ২০০৯ সালে বাজারে আসা অ্যাপলের বিশেষ এ ফোনের জন্য গুনতে হতো ২৫ লাখ ডলার। ততদিনে স্মার্টফোনের জগতে প্রবেশ করেছিল অ্যাপল। ফোনটির শেলে ব্যবহার করা হয়েছিল ১৮ ক্যারেটের হলুদ, সাদা, রোজ গোল্ড। শেল ও স্ক্রিনের মধ্যে ব্যবহৃত হয়েছিল ১৩৮টি ডায়মন্ড। আইফোন থ্রিজির হোম কিতে ব্যবহৃত হয়েছিল ৬ দশমিক ৬ ক্যারেটের ক্রাউন জুয়েল। ফোনটির ডিজাইনার ছিলেন পিটার অ্যালয়জন। সূত্র: স্ল্যাশগিয়ার

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়