জীবনে অনেক বলেছি কথা পাখির সাথে
অনেক এসেছি কাছে পাখির কামনাতে
চুম্বনে চুম্বনে ভাসিয়েছি পতঙ্গ
বৃক্ষ লতায় বেঁধে ছিলাম ঘর
এক জীবন কাটিয়েছি বুক ডুব
অন্ধ হয়েছিলাম গহীনে।
এক পথ দিয়েছিল সিথিতে বেঁধে
নিত্য জলের বাঁধন কাটে তাতে!
সেদিন ছিল তকতকে খরা গ্রীষ্ম
চারিদিক মাটি পুড়ে ছাই
অঙ্গ জুড়ে বেঁধে ছিল অদৃশ্য এক ব্যাধির বাসা;
বলেছিলাম আলোতে বড় বিতৃষ্ণা
সূর্য তোমায় পুড়িয়ে ফেলে
প্রজাপতি ফড়িং কীটপতঙ্গ আরো কত কি?
তোমার লোমকূপের মাঝে ঘুমিয়ে থাকে।
সেই যে তুমি রাত্রি বেঁধে দিলে চিবুকের মাঝে
সেই যে জোৎস্নাদের নিয়ে ভালোবেসে যাই
সেই যে অমাবস্যা ডিঙিয়ে আলো নিয়ে তোমার বক্ষে ফিরি
পূর্ণিমা সাথে অমবস্যার মিলনের খেলায় আমরা বিভোর হয়ে রই।
এই যে শুধুই এখন রাত আসে
এই যে তোমার বুকের মাঝে শুধুই স্বর্ণলতা গাছ হাসে
ক্ষণে ক্ষণে জ্বর আসে,
হস্তরেখার মাঝে খেলা করে দুটি পাখির পালক
দূর অরণ্যে চিত্রকলা হাসে।
কত কথা হয় পাখির ঠোঁটে
কত প্রেম পাখির বুকে
একদিন পাখি ধীরে ধীরে মানুষ হয়ে ওঠে
একদিন পাখি মানুষের কথা কয়
একদিন পাখি মানুষের চোখের রক্ত করে পান।
পাখির ঠোঁটে চুম্বনের লালা নেই
পাখির ঠোঁটে বিষের জালা
অনেক খেলেছি ঘর ঘর
অনেক পেয়েছি তুষ্ট প্রেমের মাঝে থথথ
এক জন্মের সংসারের বাসনাতে
অনেক হয়েছে অন্তরঙ্গ এক ফেরারির গল্প!
অনেক বয়েছে কামনার ঢেউ থথথ নদীর বুকের সরু রেখা বেয়ে
এক দীর্ঘ সাপের চলাচল।
পাখি তুমি জ্বলে যাও পতঙ্গের ঐ অগ্নি হাওয়াতে
বুক ছিঁড়ে মুক্ত করে দাও জমানো যত লৌহান শিখা
কেড়ে নাও দুপুরের হাসি, কেড়ে নাও কৃষ্ণচূড়ার সব রক্তক্ষরণ
করুণা হলেও মিটিয়ে দাও
শস্যখেতে হৈমন্তের দুর্লভ বাতাস
যে বাতাসে শয্যাময়ি প্রিয়তমেসুর মুখ হাসে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।