ভালোবাসা এখন ‘ভার্চুয়াল’, আবেগেও পড়েছে টান : তবুও বসন্ত জেগেছে বনে

আগের সংবাদ

সংস্কৃতির চর্চা জোরদারের তাগিদ > বাঙালির প্রাণের মেলার উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী : হাতে নিয়ে বই পড়ার আনন্দ অনেক

পরের সংবাদ

রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদনের পরও চা শ্রমিকের জীবন বিপন্ন কেন

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

২০২১ সালে দেশে রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ চা বোর্ড। দেশের ১৬৭টি চা বাগানে ২০২১ সালে মোট ৯৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়। যা ২০২০ সালের চেয়ে ১০ দশমিক ১১ মিলিয়ন কেজি বেশি। শুধু উত্তরাঞ্চলে সমতলের চা বাগান ও ক্ষুদ্র চা চাষ থেকেও গত বছর রেকর্ড পরিমাণ ১৪ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন কেজি চা জাতীয় উৎপাদনে যুক্ত হয়েছে। ২০২০ সালে উত্তরাঞ্চলে সমতলের চা বাগানগুলোতে উৎপাদন হয়েছিল ১০ দশমিক ৩০ মিলিয়ন কেজি ছিল।’ খবরটি খুবই আশা জাগানিয়া হলেও এই চা উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত ছোট বড় মিলিয়ে ২৫০টি চা বাগানে বসবাসকারী প্রায় ১০ লক্ষাধিক প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষের জীবন বিপন্ন কেন?
১৮৪৩ সালে চট্টগ্রামের কোদালায় প্রথম চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়। ভিন্নমত হলো, ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালিনীছড়ায় পরীক্ষামূলকভাবে চা বাগান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথম চা শিল্পের সূত্রপাত ঘটে।
ইংরেজ সরকার তৎকালীন সময়ে ভারতের বিহার, উড়িষ্যা, মধ্যপ্রদেশ, মাদ্রাজ, পুরুলিয়া, বর্ধমান থেকে নিরক্ষর, দারিদ্র্যপীড়িত অসহায় সর্বহারা মানুষগুলোকে মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে এ জনপদে এনে চা বাগান প্রতিষ্ঠার কাজে নিয়োজিত করে। রূপকথার মতো শুনালেও সত্যি যে, তখন তাদের বলা হয়- ‘এভাবে বসে আছ কেন? গাছ নাড়লে টাকা ঝরে, চলো মোদের সনে।’ সেদিন ইংরেজ রাজন্যের মিথ্যা প্রলোভনে আশ্বস্ত হয়ে অজানার পথে পাড়ি জমায়। ইংরেজ চা মালিকদের অন্যায় আর মিথ্যে প্রলোভনে সহযোগিতা করে মালিক পক্ষের নিয়োজিত বেতনভুক্ত কিছু ব্রোকার। নিজের দেশে জমিদারের নির্দয় অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়ার আনন্দে তারা আত্মহারা। নিজের দেশের কঠিন কষ্টের জীবনের অবসান হবে। সেদিন এ সব সহজ-সরল মানুষগুলোর সামনে চা শ্রমিকের জীবনকে সুন্দর আর স্বপ্নময় বলে উপস্থাপন করা হলেও অচিরেই তাদের স্বপ্নভঙ্গ ঘটে। তাদের সেই মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনের প্রকাশ ঘটে চা বাগানেই শোনা অনেক গানের একটিতে; যার একটি লাইন হলো- ‘হে নিঠুর শ্যাম ফাঁকি মারি আনি দিলি এই কাম…’। বহুদূর থেকে আসা ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষগুলোর ভাষা, ধর্ম, সংস্কৃতি বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর অনুরূপ না হওয়ায় তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক বিজাতীয় ঘৃণা এবং অন্যায়, অবিচার বেশি মাত্রায় পরিলক্ষিত হয়। অথচ এরাই আমাদের রপ্তানি আয়ের ২ শতাংশের বেশি জোগানদাতা। টাকার অঙ্কে কয়েকশ’ কোটি টাকা। চা রপ্তানিকারী পণ্য হিসেবে বিশ্বে ৮ম স্থানে আছে। ভারত থেকে আসা অসহায় মানুষগুলো পাহাড়, জঙ্গলে বসবাস করে বাঘ, ভালুক, সাপ, জোঁক, হাতিসহ নানান জাতের হিংস্র প্রাণীর সঙ্গে লড়াই করে অনাবাদী ভূমিকে আবাদী করে চা শিল্পের গোড়াপত্তন করে। এ রকম আবাদী ভূমির পরিমাণ প্রায় ১ লাখ হেক্টরের বেশি।
গার্মেন্টসের শ্রম শোষণের কথা আলোচনা হয়। কিন্তু আমরা জানি না, চা শ্রমিকদের শ্রম শোষণের কথা। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে নীরবে হাড়ভাঙ্গা শ্রম দিচ্ছে বিপন্ন চা শ্রমিকরা। কিন্তু চা শিল্পের প্রাণপুরুষ এ সব চা শ্রমিকদের মানবেতর জীবনের অবসান ঘটিয়ে জীবনমান উন্নয়নের কোনো পদক্ষেপ নেই। ফলে নিজের এবং পরিবারের অন্ন, বস্ত্রের সংস্থান করতে দিশেহারা হয়ে পড়ছে। উদয়স্থ শ্রম দেয়ার পর দৈনিক বেতন ১২০ টাকা, তাদের ভাষায় ১৬৭ বছরে দৈনিক বেতন ১৬৭ টাকাও হলো না। এত কম টাকাতে আজকাল একটি সংসারের ভরণপোষণ হয় না। বাগানের যে সব শ্রমিক পাতা তোলার কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে এ বেতন প্রদান করা হয় ‘নিরিখ’ পূর্ণ হলে। ১৮ কেজি পাতা তুলতে পারলে একদিনের ‘নিরিখ’ পূর্ণ হয়। কোথাও কোথাও তা ২৪ কেজি পর্যন্ত নির্ধারিত হয়। অন্যথায় ওই হারে বেতন কর্তন করা হয়। ১৮ কেজি বা ২৪ কেজির বেশি চা পাতা তুললে অতিরিক্ত প্রতি কেজির জন্য সামান্য কিছু টাকা বেশি দেয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত ‘নিরিখ’ পূর্ণ না হলে কর্তন করা হয় এর চেয়ে বেশি। আরো একটা মর্মান্তিক সংবাদ হলো, চা শ্রমিকদের নিরক্ষরতার সুযোগে এক শ্রেণির অসৎ কর্মচারী চা পাতা ওজন করার সময় সঠিক মাপ না দিয়ে ১৮ কেজির কম ওজন লিখে রাখে।
চা বাগানে বেতন দেয়া হয় দু’ভাগে। একদল বেতন পায় মাসিকভিত্তিতে আরেক দল বেতন পায় সপ্তাহ শেষে। তবে চা শ্রমিকদের প্রায় সবাই বেতন পায় সাপ্তাহিক। একটা বাগানে ২০০০ শ্রমিক কাজ করলে ওখানে মাসিক বেতন পায় মাত্র ৩০-৪০ জন। বাকিরা সবাই সাপ্তাহিক বেতন পায়। এখানেও আছে শুভঙ্করের ফাঁকি। প্রকৃতপক্ষে বেতন দেয়া হয় ছয়দিনের। চা বাগানে রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এদিন কাজ হয় না বলে বেতন দেয় না। তাছাড়া বাকি ছয়দিনের বেতন একসঙ্গে পায়, এমন শ্রমিকের সংখ্যাও অপ্রতুল। নানা কারণে তাদের বেতন কাটা হয়। বেতন কাটার খাতগুলো হলো- মন্দিরের চাঁদা, গরু বাগানের ক্ষতি করা, ঘর মেরামত, অনুপস্থিতি, নিরিখ পূর্ণ না হওয়া, কাজে সময় মতো হাজির না হওয়া, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি। এছাড়াও আছে খুচরা টাকা না থাকার অজুহাত। চা বাগানে বিদ্যুৎ থাকুক আর নাই থাকুক নির্দিষ্ট হারে বিদ্যুৎ বিল মালিক পক্ষ কেটে রাখেন। বাংলাদেশে একমাত্র চা বাগানেই বোধকরি পল্লী বিদ্যুতের বিল আদায়ে হার শতভাগ। কোনো ধরনের বকেয়া থাকে না। অন্ততপক্ষে শ্রমিকদের খাতে। এসব ক্ষেত্রে শ্রমিকদের কোনো ধরনের ওজর আপত্তি কাজে আসে না।
আমরা বস্তিবাসীর আবাসন সমস্যার কথা জানি। পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমিপুত্রদের ভূমির অধিকারের জন্য আন্দোলনেও আমরা সক্রিয়। কিন্তু আমরা জানি না, যে মানুষগুলো পাহাড়-পর্বতের জঙ্গল পরিষ্কার করে সাপ, বাঘের সঙ্গে যুদ্ধ করে বসতি স্থাপন আর চাষাবাদের উপযোগী করেছে, তাতে এসব ভূমিপুত্রদের কোনো অধিকার নেই। চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য মালিক পক্ষ বাসস্থানের ব্যবস্থা করেন। খবরটা পড়তে রোমাঞ্চকর মনে হলেও বাস্তবতা খুবই মর্মান্তিক। চা বাগানের মানুষগুলোর নিজস্ব ভূমি বলতে কিছু নেই। শতাধিক বছর একই বাড়িতে বসবাস করার পরও ওই ভূমির মালিক তারা নয়। মালিক পক্ষ তাদের জন্য ৭ হাত ী ১৪ হাত ভূমি নির্ধারণ করে। সঙ্গে দেয় ৩৬টি টিন আর কিছু কাঠ। এখানেই তৈরি করে শ্রমিক নিজের এবং পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই। নির্মিত ঘরের একটি দরজা এবং দুটি জানালা থাকতে পারবে। বাগানের স্থায়ী শ্রমিকরাই শুধু এই সুযোগ পেয়ে থাকেন। আইন আনুযায়ী প্রতি বছর ১০ শতাংশ শ্রমিকের জন্য বাসগৃহের ব্যবস্থা করার কথা থাকলেও তা পালন করা হচ্ছে না। ফলে স্ত্রী-পুত্র-কন্যা-মা-বাবা-বউ-নাতি-নাতনি-দাদা-দাদি আর হাঁস-মুরগি-গরু-ছাগল নিয়ে মানুষগুলোর মানবেতর জীবন না দেখলে বিশ্বাসে আনা কষ্টকর। চা বাগানে চা শ্রমিকদের একটিও বহুতল বাড়ি না থাকার কারণ জানতে গিয়ে এ সব মর্মান্তিক সত্য উদ্ঘাটিত হয়। চা বাগানের মালিকরা খাস জমি ২৫-৩০ বছরের জন্য লিজ নিয়ে নিজেরাই মালিক বনে গিয়ে শ্রমিকদের অহরহ হয়রানি করছেন। শতাধিক বছর এই ভূমিতে বসবাসের পরও তারা কবরের মাটিটুকুও নিশ্চিত করতে পারেনি। বরং কারণে অকারণে ক্ষতিপূরণ ছাড়াই তাদের ভোগ করতে দেয়া ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়।
সরকারের সর্বজনীন শিক্ষা কর্মসূচির কোনো ছাপ নেই চা বাগানগুলোতে। মালিকপক্ষ শ্রম আইনের ভয়ে বাগানগুলোতে এক বা একাধিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করে পছন্দমতো শিক্ষক নিয়োগ দেয়। পরিহাসের মতো মনে হলেও সত্যি যে এখানে শিক্ষক আর শ্রমিকের বেতনে কোনো পার্থক্য নেই। চা বাগানে ঋণ কার্যক্রম চালাতে মালিক পক্ষের কোনো অসুবিধা নেই, আপত্তিও নেই। যত আপত্তি স্কুল প্রতিষ্ঠা করলেই। শ্রমিকদের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের চেয়ে এই মুহূর্তে বড় প্রয়োজন শিক্ষা কার্যক্রমের। ব্রিটিশ শাসনামলে চা শিল্পের বিকাশের সময়েই কৌশলে ইংরেজ রাজশক্তি চা শ্রমিকদের জন্য শিক্ষার প্রসারে নানান বিধিনিষেধ আরোপ করে। এসব কারণে এদের মধ্যে আজ পর্যন্ত শিক্ষার প্রসার ঘটেনি। বাংলাদেশের ২৫০টি চা বাগানের মধ্যে ১৫৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৪৬ জন শিক্ষক আছেন। চা শিল্প ও শ্রম আইন অনুযায়ী ৪০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক থাকার কথা হলেও ৭০-৮০ শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক আছে। এখানেও ৯৫ ভাগ শিক্ষকের শিক্ষকতা করার মতো প্রয়োজনীয় যোগ্যতা নেই। এ সব স্কুলে লেখাপড়ার কোনো পরিবেশ নেই বললে চলে। শিক্ষকরা পাঠ দান না করেই বেতন গ্রহণ করেন। ‘চিলড্রেন দফা’ বাগান মালিকদের সৃষ্ট একটি ফাঁদ। চা বাগানের শ্রমিকরা মালিকদের প্রণীত সেই ফাঁদে পা দেয়। শ্রমিকরা অর্থ প্রাপ্তির লোভে শিশুদের শিক্ষালয়ে না পাঠিয়ে সেকশনে কাজে পাঠায়।
এর মধ্যেও অনেকে তাদের সন্তানদের শিক্ষালয়ে পাঠাচ্ছে। কিন্তু সেখানেও আছে ভিন্ন এক প্রতিবন্ধকতা; ভাষাগত বিপত্তি। সিলেটের প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক্ষক পাঠ দান করেন সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায়। কিন্তু চা শ্রমিকদের মাতৃভাষা ভিন্ন হওয়ায় এর সঙ্গে তাদের শিশুরা সার্বিক অর্থে পরিচিত নয়। ফলে সার্বিক শিক্ষায় শিশুদের কাছে দুর্বোধ্য এবং অনাকর্ষণীয়ই থেকে যাচ্ছে। অবহেলা কিংবা চা শ্রমিকদের ভাষায় ষড়যন্ত্র এখানেই থেমে নেয়। চা বাগানের শত শতক জমি ম্যানেজমেন্ট বিদ্যালয়ের নামে লিখে দেবে বললেও দিচ্ছে না। আবার ১৭টি চা বাগানের মালিক লিখে দিলেও বিদ্যালয় স্থাপন আজো সম্ভব হয়নি। কারণ পুরো ব্যাপারটিতেই রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি। চা বাগানে একটি প্রচলিত কথা, এখানে কাজ না করে একমাত্র বসবাসের অনুমতি মিলে মদের দোকানদারের। চা বাগানে স্কুল করার জন্য অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু মদের দোকান দিতে অনুমতি লাগে না। ফলে চা বাগানে মাদকাসক্তির প্রতি এক ধরনের ছাড় লক্ষ্য করা যায়। আবার এই মাদকাসক্তিকে পুঁজি করে প্রতিনিয়ত চা শ্রমিকদের হেয়প্রতিপন্নও করা হয়।
স্বাস্থ্যহানি চা বাগানের মানুষের প্রতিদিনের নিত্যসাথী। বিভিন্ন কারণে এ ঘটনাটি চা বাগানে ঘটে থাকে। কারণ চা বাগানের মানুষগুলো কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নিজ উদ্যোগে একটি টয়লেটও নির্মাণ করতে পারে না। ফলে চা শ্রমিকদের যত্রতত্র উন্মুক্ত স্থানেও মল-মূত্র ত্যাগ করতে হয়। এসব কারণেও তাদের মধ্যে নানান রোগ ছড়াচ্ছে। তাই চা বাগানগুলোয় প্রায় শোনা যায় কলেরা, আমাশয়সহ নানান পেটের পীড়ার খবর। অবশ্য এ জন্য পানীয় সমস্যা এবং রেশনে নিম্নমানের আটা সরবরাহও কম দায়ী নয়। আইন অনুযায়ী মালিক পক্ষ চা বাগানগুলোয় হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছে। কিন্তু এ সব হাসপাতালে ওষুধ বলতে প্যারাসিটামল ছাড়া আর কিছু থাকে না। ডাক্তারও থাকে কম। ডাক্তার না থাকার কারণ দুটো। একটা কারণ শ্রমিকরা ঠিকমতো ওষুধ না থাকলে ডাক্তারদের অপমান করেন। অপর কারণটি হলো ব্যবস্থাপকরা নিজেরাই। চা বাগানে নারী শ্রমিকরা মেটারনিটি লিভ না পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। একই সঙ্গে সন্তানরাও পুষ্টিহীনতায় ভোগে।
তাহলে কি চা শ্রমিকদের কথাই সত্যি? তাদের ভাষায় চা বাগানগুলো হলো, এক দেশের ভেতর আর এক দেশ! তারপরও তারা নিরন্তর কাজ করে চলেছে। তাই এ নিয়েও ভাবতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়